আজ থেকে দেশের সকল মসজিদে জুমার নামাজ বেলা দেড়টায় আদায় করা হবে। মুসল্লিদের অসুবিধা ও বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক এই নির্দেশনা দেয়া হয়। তাই সারাদেশে এই প্রথমবারের মতো আজ শুক্রবার থেকে একই সময়ে আদায় হতে যাচ্ছে জুমা’র নামাজ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা পরিচালক সিনিয়র দায়রা জজ আবদুস ছালাম খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই আদেশ দেয়া হয়। ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ধর্মমন্ত্রনালয়ের স্মারক নম্বর: ১৬:০১.০০০০.০০৫.১২.০০১.১৭.২৪০ এর মাধ্যমে দেশের সকল মসজিদের খতিবদের একই সময়ে অর্থাৎ বেলা দেড়টায় জুমা’র নামাজ আদায় করার আহবান জানানো হয়।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমআর নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে বেলা দেড়টায়, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জুমআর নামাজ শুরু করতে দেখা যায়।
সময়ের বিবর্তনে ধর্মপ্রাণ মুসলি-গণ বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। এ সমস্যা দূরীকরণে সারাদেশে সকল মসজিদে মুসলি-গণের সুবিধার্থে একই সময় বেলা দেড় টায় জুমআর নামাজ আদায় করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই আহবান কে ইতিবাচক দেখছেন বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও মুসল্লিরা। তারা এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
মোঃ মকন জামে মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেরীতে হলেও একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে করে সাধারণ মুসল্লীরা বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
মাওলানা আতিকুর রহমান নগরী বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মসজিদে জুমা’র নামাজ আদায় হওয়ার ফলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ওইদিন যখন এক মসজিদে নামাজ আবার পাশাপাশি আরেক মসজিদে বিলম্বে জুমা’র নামাজ হওয়ার কারনে মাইকের খুৎবার কারনে অনেক মসজিদে নামাজে অসুবিধা হতো। এখন থেকে একই সময়ে নামাজ আদায় হওয়ার কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হবে না।
ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, অনেক সময় সফরত সময়ে কোন মসজিদে কোন সময় নামাজ আদায় হবে তা সময় জানা না থাকার কারনে বেশির ভাগ মুসাফিরের জুমা’র নামাজ থেকে বঞ্চিত হতো। আশাকরি নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
মুসল্লি আবদুল গফুর বলেন, নিঃসন্দেহে জুমা’র নামাজ মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্ব পূর্ন দিন। সময়ের ব্যবধান থাকায় কেউ আগে নামাজ পড়ার জন্য অন্য এলাকায় গিয়ে নামাজ আদায় করতে হতো। আবার কেউ দেরী করে নামাজ আদায়ের লোভে অনেক সময় নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় নামাজ আদায়ে ছুটে যান।
এতে করে স্থানীয় ভাবে একে অন্যের সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একই সময়ে সকল মসজিদে নামাজ আদায় হলে এক দিকে যেমন পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধি হবে। অন্য দিকে সামাজিক যেকোন অনুষ্টানেও সকলে সময় মত উপস্থিত হতে পারবে।