বাংলাদেশের একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নানা ধরনের বাস্তবতা আছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বাস্তবতার মধ্যে আছি। পুরো জনগোষ্ঠীর একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।
এই বাস্তবতা সত্ত্বেও আমরা তরুণরা যে ধরনের রাজনৈতিক ধারা তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বলছি বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন।’
এনসিপি যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘সেই সংবিধান অর্জনের জন্য আমাদের অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া আর কোনো সরকার আর কোনো নির্বাচনে ম্যান্ডেট নেই যে নতুন সংবিধান তৈরি করে দিতে পারবে। এই সংবিধান একটি প্রশ্নবিদ্ধ সংবিধান, অভিশপ্ত সংবিধান।
এই সংবিধানের মধ্যে মানুষের মতামতের জায়গা রাখা হয়নি। এই সংবিধান একটি দলীয় সংবিধান ছিল। এই সংবিধান একটি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংবিধান, এই পার্লামেন্ট এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক পার্লামেন্ট ছিল।’
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের বাংলা ভবন রেস্টুরেন্টে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এখন যে সচিবালয়, এখন যে মন্ত্রণালয়ে বসে যারা বড় বড় কথা বলছেন, তারা সবাই এক দলীয় এবং এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সচিবালয় মন্ত্রণালয় চালিয়ে আসছেন। আমাদের সেবাভিত্তিক রাজনীতির কথা বলতে হবে। যদি আমরা তরুণদের নতুন রাজনীতির ধারার ক্ষেত্রে আগ্রহী করতে চাই তাহলে অবশ্যই শোডাউনের রাজনীতি পরিবর্তন করে দায়িত্বের কথা বলতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের যে দায়িত্ব আমরা কাঁধে নিয়েছি সেটা শুধু এনসিপির নয়, সব রাজনৈতিক দলকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা দেখেছি ঐকমত্য কমিশনে অনেকেই গণপরিষদ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন।
আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই গণপরিষদ নির্বাচন ব্যতীত বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন এই গণ-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট ধারণ করবে না। গণপরিষদ নির্বাচন কোনো কঠিন বিষয় নয়। বাংলাদেশে যখন আধুনিক কল-কবজা ছিল না, তখনই গণপরিষদ নির্বাচন এই ছাত্র, জনতা, শ্রমিক, কৃষকের হাত ধরে এসেছিল। তাহলে এখনকার যে আধুনিক প্রজন্ম এই গণপরিষদ বুঝবে না, এটা বলে আমাদের দেশের মানুষকে জাতিগত অপমান করা হয়।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, শওকত আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।