ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা “অর্থহীন” হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েল যে বড় পরিসরের সামরিক হামলা চালিয়েছে ইরানের ভূখণ্ডে, সেটিকে কেন্দ্র করেই এ অবস্থান নিয়েছে তেহরান। ইরানের অভিযোগ, এই হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ দেশটির তাসনিম বার্তা সংস্থাকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এমন আচরণ করছে যাতে আলোচনার আর কোনো মানে থাকে না। একদিকে তারা আলোচনা করতে চায়, অন্যদিকে ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলার সুযোগ দেয়।”

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে এবং এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব হতো না।

এর আগেও ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযোগ অস্বীকার করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানকে আলোচনায় ফিরতে আহ্বান জানায় এবং পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর পক্ষেই মত দেয়।

ঘটনাটি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেন, ইরানকে তিনি ৬০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন “চুক্তিতে আসার” জন্য। ট্রাম্প লিখেছেন, “দুই মাস আগে আমি ইরানকে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিলাম চুক্তির জন্য।” যদিও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরাসরি হামলায় যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে ওমানের মাসকাটে নির্ধারিত ষষ্ঠ দফার যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। টানা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের খামেনি নেতৃত্বাধীন সরকার। এর জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আরও সামরিক অভিযান চলমান রয়েছে।

তেহরান পুনরায় জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ, বেসামরিক প্রয়োজনে পরিচালিত হচ্ছে। ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।