চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কোরবানির পশুর প্রস্তুতিও তুঙ্গে। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় রেজিষ্ট্রেশনকৃত ৭৫ টি বাণিজ্যিক খামার সহ অন্যান্য খামারিগণ পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন । শুক্রবার (২৩ মে) উপজেলার চরগাও একতা এগ্রো ফার্মে গিয়ে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর কোরবানির ৪ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪৭৭৮টি যা চাহিদার থেকে বেশি। এসব পশুর মধ্যে ৩৮৩৯টি গরু, ৬১৫টি ছাগল , ভেড়া ৩১৪টি , মহিষ ১০টি।
খামারিরা জানান, কয়দিন পরেই সারাদেশে পুরোদমে শুরু হবে কোরবানির পশু কেনা-বেচা। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। গরুগুলোকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করা হয়েছে, প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন- ভুট্টা, খৈল, ব্রান্ড, কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। গোসল করানো হয় প্রায় প্রতিদিনই। প্রতিনিয়ত পশুর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখা হয়। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠিক রাখা হয়। যে পরিমাণ দেশি গরু-ছাগল প্রস্তুত রয়েছে, তা দিয়েই এ উপজেলার কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটা বেড়েছে। একই সঙ্গে চোরাই পথে যাতে বাহিরের পশু ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখার জোর দাবি জানান তারা।
একতা এগ্রো ফার্মের মালিক ইব্রাহিম তালুকদার এ প্রতিবেদকে জানান, ২৪টি গরু প্রাকৃতিক ঘাসের মাধ্যমে লালন পালন করা হয়েছ। সকল গরু ১৫ লক্ষাধিক টাকা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুভ নামে এক গৃহস্থ বলেন, ৩টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি, গরু ৩টির দাম সাড়ে ৪লক্ষ টাকা হাঁকাচ্ছি, ক্রেতারা সাড়ে ৩ লক্ষ্য থেকে তিন লক্ষ্য ৬০ বলছে। দাম ধরে মিললে ছেড়ে দিব।
মোড়াকরি গ্রামের এক খামারী বলেন, কোরবানির জন্য ১০টি গরু বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পশুখাদ্যের ,দাম বাড়তি খরচ হওয়ায় নায্যমূল্য পাবেন কি না এ নিয়ে চিন্তিত। গতবছরের তুলনায় এবার ধর দাম কম বলছে ক্রেতারা, এছাড়াও বেরী আবহাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
লাখাই উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, পশুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম থাকবে, জালনোট শনাক্তকরণের ব্যাবস্থাও করা হবে। এদিকে হাটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজারাদারগণ।