রাজনীতিতে বেশ হাঁকডাক করেই প্রবেশ বলিউডের ‘ঠোঁটকাটা’ অভিনেত্রী কঙ্গনার। তিনি এখন সংসদ সদস্য। গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মান্ডি আসন থেকে ভোটে জিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ অভিনেত্রী।
এর পরের টার্গেট কি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া? এমন কৌতূহলী প্রশ্নের জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
‘এআইআর’-এর সঙ্গে সাম্প্রতিক এক আলাপচারিতায় কঙ্গনা রানাওয়াত জানিয়েছেন যে, তিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সঙ্গে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হচ্ছেন। কিন্তু আপাতত তিনি খুব একটা আনন্দ পাচ্ছেন না। অভিনেত্রী ব্যাখ্যা করেছেন যে এই কাজটি সমাজসেবার মতো।
যদিও তিনি অতীতে নারীর অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন, তবে এটি ভিন্ন। মানুষ তাকে কখনো ভাঙা ড্রেন, কখনো আবার রাস্তার সমস্যা নিয়ে এসে নালিশ করে যাচ্ছেন। আর যখন কঙ্গনা তাদের বলেছেন যে এগুলো রাজ্য সরকারের সমস্যা, তখন তাকে নিজের টাকা ব্যবহার করে সেগুলো ঠিক করার জন্য বলা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা আরো বলেন যে, তার কোনো বড় রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, যেমন একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষা।
কঙ্গনা বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যোগ্য এবং আমার এমন কোনো আগ্রহ বা উৎসাহও নেই। সমাজসেবা কখনোই আমার ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। আমি খুব স্বার্থপর জীবন যাপন করেছি। আমি একটি বড় বাড়ি, একটি বড় গাড়ি চাই, আমি হীরার আশা রাখি। আমি চাই, আমাকে ভালো দেখতে লাগুক। এমন জীবনই আমি কাটিয়েছি। ঈশ্বর আমাকে কিসের জন্য বেছে নিয়েছেন, আমি জানি না, কিন্তু আমি আমার জীবনকে এমন কোনো মহান ত্যাগ হিসেবে দেখি না। আমি এমন জীবন পছন্দও করি না।’
পর্দায় অভিনেত্রী কঙ্গনাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায়। কঙ্গনা এখন আসন্ন হরর মুভি ‘ব্লেসড বি দ্য এভিল’-এর মাধ্যমে হলিউডে অভিষেক করতে চলেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লায়ন্স মুভিজ প্রযোজনা করছে। এই সিনেমার শুটিং পরের বছর নিউইয়র্কে শুরু হওয়ার কথা। এ ছাড়া আর মাধবনের সঙ্গে একটি মনোবৈজ্ঞানিক থ্রিলারে কাজ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন অভিনেত্রী।