সিলেটে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বিমানবন্দর, রেলস্টেশনে সতর্কতার পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন রোগী সিলেটের করোনা বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর আর নতুন করে সিলেটে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবুও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সিলেটে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ও প্রস্তুতি।
করোনার সতর্কতা হিসেবে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। একই সঙ্গে রাখা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টার। এছাড়া রেলস্টেশনেও নেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
প্রতিনিয়ত মাইকিং ও মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের সচেতন করতে করোনা বিষয়ক প্রচারণা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে মাইকিং করে নিরাপদ দূরত্ব বজায়, মাস্ক পরিধান ও স্যানিটাইজেশন ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরছি।
এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও তাদের স্বজনদের অধিকাংশ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। তাদের বেশিরভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। পাশাপাশি সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং বিমানবন্দরেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে যাত্রীদের অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হয়।
এদিকে সিলেটের করোনা ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে করোনা রোগীর সম্ভাব্য বাড়তি চাপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ১৬টি আইসিইউ বেড, পুরুষদের জন্য ২০টি এবং মহিলাদের জন্য আরও ২০টি ডেডিকেটেড বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২০২০ সালের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও একইভাবে সজাগ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মিজানুর রহমান।
অপরদিকে সিলেটের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। উপপরিচালকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম করোনা মোকাবেলায় কাজ করছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে আলাদা ফ্লু কর্নার, যেখানে জ্বর, সর্দি ও কাশির উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছেন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর রাশেদ মুনির জানান, সিলেটে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে যেকোনো সময় পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।