কানাইঘাটের দিঘীরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের সড়কের বাজারে অজ্ঞাত এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে হোটেল কর্মচারী ও মিশুক চালককে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গভীর রাতে সড়কের বাজারে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবতি বাজারে ঘোরাফেরা করছিল। তখন বাজারের একটি হোটেলের কর্মচারী স্থানীয় মানিকপুর গ্রামের দুলাল আহমদ (৩০) এবং মিশুক রিক্সা চালক করচটি নালুহারা গ্রামের ফজলুর রহমানের পুত্র জাকারিয়া (৪০) ঐ যুবতিকে বাজারের একটি গোডাউনে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি দেখতে পান বাজারের নৈশ্য প্রহরীরা। পরদিন নৈশ্য প্রহরীরা বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেন।
এতে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত দুলাল আহমদ ও জাকারিয়াকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অজ্ঞাত ঐ যুবতীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। পরে বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার লোকজন কানাইঘাট থানা পুলিশকে জানালে, থানা পুলিশ ধর্ষণকারী দুই যুবককে থানায় নিয়ে আসেন। তবে ভিকটিম ঐ যুবতীর নাম-ঠিকানা বা পরিচয় পাওয়া যায়নি।
থানায় আটক হোটেল কর্মচারী দুলাল আহমদ অজ্ঞাত যুবতীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলে, ঐ যুবতীকে কে বা কারা টাকার বিনিময়ে সড়কের বাজারে এনে করে রেখে যায়। পরে সে ও জাকারিয়া যুবতীকে ধর্ষণ করে।
সড়কের বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ জানান, অজ্ঞাতনামা যুবতীকে ধর্ষণের বিষয়টি বাজারের নৈশ্য প্রহরীরা ব্যবসায়ীদের জানান। পরে বিষয়টি জানতে পেরে আজ শনিবার বিকেলে দুলাল আহমদ ও জাকারিয়াকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুলাল আহমদ নিজে ও জাকারিয়া মিলে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে। তবে আব্দুল্লাহ বলেন, অজ্ঞাতনামা যুবতী ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে নৈশ্য প্রহরীরা জানালেও ঐ যুবতীর পরিচয় সনাক্ত করতে তাকে খোঁজা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়ালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনাটি সড়কের বাজারের ব্যবসায়ীরা জানালে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভিকটিমের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।