রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়ানের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে কথা হয় আয়ানের খালাতো ভাই রাহিবের সঙ্গে। তিনি জানান, আয়ান হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছে না।
সে বলছে, সে আর থাকবে না হাসপাতালে, তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে।
তিনি আরো জানান, আয়ানের শ্বাসনালি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে চলছে। ১৪ নম্বর আইসিইউ বেডে আছে আয়ান।
গতকাল রাত ১০টার দিকে তাকে আমরা আইসিইউতে নিয়ে আসি। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আয়ান।
রাহিব বলেন, আয়ানের মা ব্যাংকে চাকরি করে। দুপুরে যখন খাবার খেতে ক্যান্টিনে যান এমন সময় ফোন আসে, যে তার ছেলেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তখন সে পাগলের মতো হয়ে বাসায় আমাদের ফোন দেয়।
রাহিব আরো বলেন, সকালে আমি গেলাম আয়ানের কাছে, পরে জিজ্ঞেস করে আম্মু কোথায়। আর সে বারবার অরেঞ্জ জুস খেতে চাচ্ছে, কিন্তু ডাক্তার খেতে দিচ্ছে না। রাহিবের গলা তখন ভারী হয়ে আসছিলো, তিনি আয়ানের চিৎকারের কথা উল্লেখ করে বলে, আয়ান আমাকে বারবার বলছিলো আমি এখানে আর থাকবো না, আমাকে নিয়ে চলো।