গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :

গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলংয়ে নবম খন্ডে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে পানি শেষ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় শুস্ক মৌসুমে পানির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি আবাদের দ্বারা ফসল উৎপাদনে নব দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। সৌর প্যানেলের আওতায় এলাকার পতিত ৫শত বিঘার বেশি পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় চলে এসেছে। এতে করে স্হানীয় কৃষকরা বোরোধান,রবিশস্যসহ শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করে ফসলা আবাদ করে উপকারভোগী হবেন। পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আসার মধ্য দিয়ে একদিকে স্হানীয় কৃষক পরিবার উপকৃত হবেন অপরদিকে উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও

রপ্তানীর মাধ্যমে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ৩নং পূর্ব ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ব্লক কৃষিভাগের সার্বিক তথ্যাবদান ও দিকনির্দেশনায় স্হাপিত উক্ত সৌর প্যানেলের মাধ্যমে পানি সেচের বিশেষ প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছে আনুমানিক প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে। ফ্রিপ প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে উক্ত প্রকল্প অর্থায়ন হয়েছে। নবমখন্ড পূর্বপাড়া গ্রামের আনুমানিক শতাধিক কৃষক পরিবার আশপাশে পতিত জমিতে চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষিতে নিজেদেরকে আরও মনোনিবেশি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১ টায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির ও মিনহাজ হোসেন কামরান ফিতা কেটে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। সব ধরনের ফসল আবাদের জন্য প্রকল্পটি সহায়ক হলেও কৃষি বিভাগের মতে উক্ত প্রকল্পটি

বোরো ধানের পরিবর্তে রবি মৌসুমে অর্থকরি ফসল নাগা মরিচ ও তরমুজ আবাদ করলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হবেন। কৃষকরা যদি রবি মৌসুমে নাগা মরিচ ও তরমুজ ফসল আবাদ করেন তাহলে স্হানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্হানের চাহিদা মিটাতে ভূমিকা পালন করবে। অর্থকরি ফসল দুটি উৎপাদন করে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব। সৌর প্যানেল সেচ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, কৃষক উসমান আলী,আলাউদ্দিন আলাল,আজমল হোসেন,জসিম উদ্দিন, জামেস উদ্দিন, জলিল প্রমুখ।