টাঙ্গুয়া হাওরে জীববৈচিত্র রক্ষায় মানতে হবে ১৩টি নির্দেশনা শনিবার জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলাধীন ১০টি মৌজা জুড়ে় ছোট বড় ১০৯টি বিলের সমন্বয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার টাঙ্গুয়া হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সংকটাপন্ন বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেশনের অধীনে রামসার এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। সেজন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন পর্যটকদের করণীয় ও বর্জনীয় বেশ কিছু বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
পর্যটকদের বর্জনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- উচ্চ শব্দে গান বাজনা করা/শোনা যাবে না, হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না, মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না, পাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোন ধরণের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না, গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙ্গা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না, কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না, মনুষ্য সৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
এছাড়াও পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনাগুলো হলো- জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে, লাইফ জ্যাকেট পরিধান, দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ ,ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলুন, স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকুন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, টাঙ্গুয়া হাওরে পরিবেশ প্রতিবেশের স্বার্থে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে করে পর্যটকরা সচেতন হতে হবে।