তাহিরপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের সর্ববৃহৎ (ছিলানী তাহিরপুরের বাধঁ)সহ হাওরের বিভিন্ন ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন,জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকাল ২টার সময় উপজেলার মাটিয়ান হাওর উপ প্রকল্পের ন্নাইদার হাওরের ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের পশ্চিম দিকে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গিয়ে, সর্ববৃহৎ ক্লোজারে পরিনত হয়েছিল হাওরে। ফসল রক্ষায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ( ৩টি প্রকল্প) একত্রিত করে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করেছে। এই বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং বেড়িবাঁধের বর্তমান অবস্থা ও এর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধটি স্থানীয় কৃষকদের ক্ষেতকে বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিদর্শনকালে (ডিসি)বলেন , হাওরের সর্ববৃহৎ বেড়িবাঁধ (৫৬,৫৭,৫৮) নং পিআইসি’র কাজ খুব ভালো হয়েছে্। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিসহ সদস্য বৃন্দগনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুরস্কারে ভূষিত করবে বলে আশ্বস্ত করেন। তবে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসিল ঘরে উঠার আগ পর্যন্ত খেয়াল রাখতে,বৃষ্টি কিংবা পাহাড়ি ঢলের জলে যাতে বেড়িবাঁধের ক্ষতি যেন না হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে, তাহিরপুর উপজেলার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (৫৭নংপিআইসি)’র সভাপতি সোহেল মিয়া বলেন, আমি একজন কৃষক পরিবার সন্তান। আমাদের ফসল রক্ষায় আন্তরিক ভাবে বেড়িবাঁধের কাজ সম্পূর্ণ করেছি। কাজের গুণগত মান দেখে ডিসি মহোদয় আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং জেলার মধ্যে আমি পুরস্কারে ভূষিত হবো বলে আশ্বস্ত দেন তিনি। আমাদের কৃষি ও জীবিকা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিসি সাহেবের পরিদর্শন আমাদের জন্য আশার আলো, বলে জানান তিনি।
এছাড়া, ডিসি পরিদর্শনের সময় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের,পওর বিভাগ১,সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন হাওলাদার,তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম,উপজেলার উপ- প্রকৌশলী মনির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট পিআইসির সভাপতি সাফিতুল, সদস্য সচিব হালিম, সুয়েজ মিয়া সহ স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তাহিরপুর উপজেলার ১৭হাজার ৫শত ৯হেক্টর জমির ফসল রক্ষায়, ৭৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ৮টি হাওরে ৮৯কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২কোটি ৫৬লক্ষ টাকা (প্রায়)।