সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের রোপণ করা জমিতে পরিপূর্ণ ভাবে দেশীয় (লোকাল) বোরো জাতের পাকাঁ ধান কেটে ফসল সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। নতুন ধান কাটার ইমেজে কৃষকের মুখে মুচকি হাসির ঝিলিক । বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর বেলায় উপজেলার মাটিয়ান হাওরে দেখা যায় এক কৃষক তার আবাদি জমিতে লোকাল বোরো জাাতের পাকাঁ ধান কাটছেন।
তরং গ্রামের কৃষকরা আলী আজগর আখঞ্জী জানান, এবছর বিভিন্ন জাতের রোপণ করেছি, এর মধ্যে ৫/৬ কেয়ার বোরোধান লাগাইছি (৩০শতকে) ১কেয়ার (প্রায়) ৩৬ কেয়ার চাষাবাদ করেছি, এবার জমিতে প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়েছে। তারমধ্য বোরোজাতের ধান আড়াই কেয়ার পাকাঁ ধান কেটেছি। প্রায় ২০ মন হইবো। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি, এবছরের ফসলে জীবিকার জন্য একটি বড় সহায়িকা হবে।
এদিকে, স্থানীয় কৃষকরা জানান, পূর্ব পুরুষ থেকে বোরো শাইল,গচিসহ বিভিন্ন জাতের (লোকাল) ধান রোপণ করে আসছেন। যাহা আমলে রুপ নিয়েছে। এছাড়া ও উৎপাদনে কম হলেও, অল্প সময়ের ধান পাকেঁ, এ কারণে ভাটির কৃষক স্বল্প পরিসরে হলেও(লোকাল) জাতের ধান রোপণ করেন অনেকেই।লোকাল জাতের ধান রোপণে সার, কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। প্রাকৃতিক ভাবেই যাকে পরিবেশবান্ধব বলে। একারণে, এ ধানের চাউলের স্বাদ বেশী।তবে বাজার জাতে দাম কম। একারণে এসব জাতের ধান রোপণ করা থেকে, সড়ে যাচ্ছে কৃষক। কৃষকরা, আরও জানান, হাওরে ধান কাটার মেশিন কম, শ্রমিক সংকট। এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্তা গ্রহণ করতে হবে। অন্য থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হবে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ছোট বড় ২৩ হাওরে ১৭হাজার ৫শত ৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, উপচি, লোকাল জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এই বছর সমউপযোগী রোপণ সহ প্রাকৃতিক বৃষ্টি হওয়ার ফলে,হাওরে ভালো ফসল হয়েছে। এছাড়াও আগামী এক মাসের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ,বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস নেই। এর কারণে আরও সহজ হয়েছে, দুশ্চিন্তা মুক্ত ভাবে, কৃষকের কষ্টার্জিত সোনালি ফসল কেটে ঘোলায় উঠাতে পারবেন। আগামী ১০ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে ধান কাটার শুভ উদ্বোধন করা হবে। তবে এই পূর্বেই, এখানকার( লোকাল) জাতের বোরো পাকাঁধান কেটেছেন কৃষক। এসব ধান রোপণে শ্রম ও অর্থ ব্যয়ের খরচ কম।উৎপাদনে হয় না বেশি।
সিলেট বেলা / এস এস / ০৮