ঘরে তখন উচ্চ শব্দে গান বাজছিল। কেউ জানতেন না ভেতরে তখন অন্তরার শরীর ঝুলছিল।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার কান্দিপাড়া টিলাগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অন্তরা দাস (২৩) সুনামগঞ্জের দিরাই থানার কুচিরগাঁওয়ের মলয় কান্তি দাস অঞ্জু ও অমায়া রানী দাসের মেয়ে। বর্তমানে তারা কান্দিপাড়া টিলাগাঁওয়ে থাকেন।
তিনি সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং প্রায় ৮/১০ দিন আগে কলেজেও গিয়েছিলেন।
ঘটনার সময় অন্তরার নিজের ঘরে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন এবং তার মা রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে গান চলতে থাকায় সন্দেহবশত তিনি মেয়ের কক্ষে এসে দেখতে পান, তার মরদেহ বিছানার উপর ঝুলছে এবং সিলিং ফ্যানের সাথে তার ওড়না বাঁধা।
অন্তরার ছোট বোন তখন কোচিং-এ, পিতা ব্যবসায়িক কাজে বাইরে এবং ছোট ভাই হবিগঞ্জে।
খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও রাত সাড়ে ৯টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল বাছেদ সরকার সিলেটভিউকে জানান, এরকম একটা খবর পেয়ে আমাদের একজন ইন্সপেক্টার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তবে তিনি এখনো ফিরেন নি বা কোনো রিপোর্টও দেন নি।
তিনি ফিরে রিপোর্ট দেয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।