1. admin@sylhetbela24.com : admin :
June 21, 2025, 6:13 pm
বিজ্ঞপ্তিঃ
সিলেট বেলা ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম! আপনার আশে পাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ আমাদেরকে জানাতে sylhetbela247@gmail.com এ পাঠিয়ে দিন। আমরা যাচাই বাছাই শেষে তা যথারীতি প্রকাশ করবো। আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

দ্বৈরথ : আমার সাথে আমারই

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, এপ্রিল ১২, ২০২৫
  • 159 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

বুর্জোয়া ধনতান্ত্রিক শক্তির যারা সহায়ক তারা এমন কিছু সমাজসেবা করে বা দানদক্ষিণা দেয় বা নানা সাহায্য দেয়, অথবা, এমন কিছু কাজ করে যা আপাতদৃষ্টিতে মনেহয় জনকল্যাণকর কাজ, মহৎকর্ম। বাস্তবে তারা শোষিত, বঞ্চিত, অসহায় মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকতে দেয়না। একটু ফাঁক রাখে। এই ফাঁক বা গ্যাপ রাখাটাই তাদের কাজ। যাতে মানুষ দেয়ালে পিঠ লাগলে ঘুরে না দাঁড়ায়। কিছু মানুষ এতে লাভবান হয় কিন্তু অধিকাংশের ভাগ্য থাকে অপরিবর্তিত। বিচিত্র অন্ধকারের মাঝামাঝি এসে ওরা সকালের প্রত্যাশায় ছটফট করে। অন্ধকার গভীর নাহলে রাতের শেষ হয়না। কিন্তু ওদের জন্য অন্ধকারটা ত্বরান্বিত হয়না, গভীর হয়না, রাতও পোহায়না। দেয়ালে পিঠ লাগেনা। একটু দূরেই রেখে দেয়। বাহবা কুড়ায় সেই প্রবঞ্চক।


আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে তা-ই হয়। আমরা মাঝামাঝি আছি, থাকি, ভালোবাসি। আমাদের সবকিছুই এখন এক একটা আইটেম। হোমিও শাস্ত্রে রোগীর লক্ষণ প্রকাশ পেতে ঔষধ দেয়া হয়, যদি না লক্ষণ সমূহ পরিষ্কার ফুটে উঠে। সূত্রটা – ‘সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার’। কিছু প্রাণঘাতী রোগ আছে লক্ষণটা প্রকাশ পায় সে তীব্র হওয়ার পর। যেমন- ক্যানসার। তখন সময় থাকেনা আর। আমাদের অজ্ঞতা, আমাদের ঘোর, আমাদের ভেতরের রোগের লক্ষণ আড়াল করতে মরিয়া করে তোলে। নিজের অন্ধকারটা বুঝিনা, বুঝতে চাইনা। পিঠ দেয়ালের একটু দূরেই আটকে থাকে, ঠেকেনা।


আমার দ্বৈরথ আমার সাথেই। আমার অন্ধকারটা আমিই। তাই রাত পোহায়না।

হাজারটা বিকৃতি, সংকীর্ণতা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, শিশু মৃত্যু, মানুষের মৃত্যু, হিংসার উন্মাদনা, অমানবিকতার পরাকাষ্ঠা, সীমাহীন বৈষম্য, অত্যাচার – আমাকে জাগায়না। বাড়ির কাছের পানাপুকুর দেখিনা, দেখেও না দেখার ভান করি। সেখানে কালগোখরো অবাধে নাচে। জেনেও চুপ! জানিনা। ভর পূর্ণিমায় আমার আকাশে মেঘের ছুটোছুটি থাকলেও আকাশে চাঁদ উঠেনি – সেটাতো বলা মুর্খতা। আমি দেখছিনা বলে জগতের কেউ দেখেনি তাতো নয়। নিজ ঘরের কাছেই খাণ্ডবদাহন দেখিনা, দেখিনা উজাড় হওয়া বাগানের অসহায় চাহনি। সেই আমি – হিমালয় দেখি, আমাজন দেখি, জানি মরুর তৃষ্ণা, শুনি দূরদেশের শিশিরের দূঃখ কান্না। বড্ড জটিল আর রহস্যে ঘেরা আমার ধারাপাত!
সবাই আমাকে ভালোবাসুক, আমার পাশে দাঁড়াক, বিবর্ণ ক্যানভাসের মুখ দেখে কন্ঠ ছাড়ুক – এ আমি চাই। হায়! আমার চোখের সীমানায় উঠোন জুড়ে বিবর্ণ সকাল-বিকেল-সন্ধ্যায় কতো দৃশ্য বদলায়! আমার হাতে রঙতুলি ওঠেনা। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কবি তখন কবিতা লেখেনা, শিল্পী ও গীতিকার গান গায়না। আঙুল চলেনা। আমার ডানা আকাশ ভুলে যায়, আমার কন্ঠ ঋষভ ধৈবত চেনেনা। আমার চোখ সাদাকালো বুঝেনা বুঝে শুধু অলীক রঙ। আমি সেই দেয়ালে পিঠ লাগতে না দেয়া পাপেট। আমি আমার সর্বনাশের দোসর। বিষ্ঠার কীটের গন্ধে কিবা আসে যায়! আমিও ভাবিনা।

লেখক : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024 Sylhetbela24.com
Theme Customized By BreakingNews