সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
শুকনো মৌসুমে নাব্যতা হারিয়েছে নদী। প্রতিদিনই পানি শুকিয়ে চড় জাগছে নদীতে। নদীতে স্থানে স্থানে চর থাকায় মালামাল পরিবহনে বিরাট বাধা। এই বাধার মুখে এখন আটকা পড়ে আছে শতাধিক বালু ও পাথর বোঝাই নদী।
জানাগেছে, নাব্যতা সংকটের কারণে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালু মহাল যাদুকাটা নদী। প্রতিদিন বালু ও পাথর সংগ্রহ করার জন্য এই নদীমুখে যাত্রা করে শত শত নৌকা। কিন্তু বালু-পাথরবাহি বাল্কহেড কিংবা বড় নৌকাগুলো এখন আর বের হতে পারছে না।একই অবস্থা রক্তি নদীরও। জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমানার রক্তি নদীতে নব্যতা সংকটের কারণে নৌ-পথে এই অচলাবস্থা। বুধবার রক্তি নদীতে শতাধিক বালু-পাথরবাহি নৌপরিবহন আটকা পড়েছে। ফলে যাদুকাটা এবং রক্তি নদীতে পাথর ও বালু বোঝাই করা নৌকাগুলো আটকা পড়ে আছে নদীতে। তবে দ্রুত বৃষ্টি না হলে এই সঙ্কট আরও তীব্র হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বালু-পাথর ব্যবসায়ী আহমদ আলী জানান, রক্তি নদীতে নব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এই সংকট আরও বেড়েছে। নদীর বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার ফতেহ্পুর থেকে দুবলারচর পর্যন্ত শতাধিক নৌকা দুপুরের পর থেকে আটকা ছিল শুনেছি। রাতে কয়েকটা কোনভাবে আসা যাওয়া করেছে। এই নদী দিয়ে যাদুকাটা থেকে বালু—পাথর নিয়ে সুরমা নদী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌছায়।
জামালগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর আরিফ উল্লাহ্ জানান, রক্তি নদীর দুর্লভপুর এলাকায় নব্যতা সংকটের কারণে ৪০ টি বালি বোঝাই ট্রলার আটকা পড়েছে। ওখানে বিআইডব্লিউটি’এর নদী খননের কাজও চলছে।
বিশ^ম্ভরপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বললেন, শুনেছি রক্তি নদীর দুবলারচর, সংগ্রামপুর এলাকায় নব্যতা সংকটে নৌজট লেগেছে। বিকেলে আমরা এই খবর পেয়েছি। উর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সিলেট বেলা / নীরব/ তন্ময়