বাংলাদেশ ক্রিকেট এক অস্থির সময় পার করছে। মাঠের ভেতরে যেমন ক্রিকেটারদের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স অনুপস্থিত, তেমনি মাঠের বাইরেও চলছে নানা অস্থিরতা। এই প্রেক্ষাপটেই বিসিবি সভাপতির পদ থেকে ছাটাই হয় ফারুক আহমেদ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ঠিক এই সময়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রানে হেরে সিরিজও হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। নতুন সভাপতির অভিষেক হলো যেন এক হতাশাজনক পরাজয়ের মাধ্যমে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে আবারও পুরোনো ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ। দারুণ শুরু করেও মাত্র ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় লিটন দাসের দল। শেষদিকে তানজিম হাসান সাকিবের লড়াকু ইনিংস হারের ব্যবধান কমাতে সামান্য অবদান রাখলেও সিরিজে আর ফেরার পথ রইলো না টাইগারদের। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দুর্দান্ত সূচনা করে। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে আসে ৩২ রান, যেখানে তানজিদ হাসান তামিম দেখান ব্যাটিং ঝড়। তবে দলীয় ৪৪ রানে প্রথম জুটি ভাঙার পর ধস নামে ব্যাটিং লাইনে। ৪৪/০ থেকে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড দাঁড়ায় ৭৭/৭ এ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে দল।
তামিম ১৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৩ রান। লিটন দাস ফেরেন মাত্র ৬ রানে। এরপর তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন সবাই ব্যর্থ হন রানের খাতা বড় করতে। ৭ম ওভারে এসে আবরার আহমেদের ঘূর্ণিতে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। এক ওভারে তিনি তুলে নেন ২ উইকেট।
শেষ দিকে কিছুটা লড়াই করেন তানজিম হাসান সাকিব। ৩০ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়ে তিনি দলকে সম্মানজনক স্কোরের কাছাকাছি নিয়ে যান। তবে ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া হয় টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ১৪৪ রানে।
এর আগে পাকিস্তান ম্যাচের মতো এবারও ব্যাটিং দাপট অব্যাহত ছিল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তারা আবারও তুলেছে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ। আর বাংলাদেশের বোলিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন উইকেটশূন্য, রিশাদ হোসেন ১ উইকেট নিলেও দেন ৫০ রান। তানজিম সাকিব ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট। ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন শরিফুল ইসলাম।