1. admin@sylhetbela24.com : admin :
October 17, 2025, 1:41 am
বিজ্ঞপ্তিঃ
সিলেট বেলা ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম! আপনার আশে পাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ আমাদেরকে জানাতে sylhetbela247@gmail.com এ পাঠিয়ে দিন। আমরা যাচাই বাছাই শেষে তা যথারীতি প্রকাশ করবো। আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

পাথরলুট কান্ডে এবার রেলওয়ে কর্মকর্তাকে বদলি

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫
  • 37 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

ছাতক রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর নুরকে ছাতক থেকে চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছাতক-ভোলাগঞ্জের কোটি কোটি টাকার পাথর লুট ও লোহার সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

তার ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে রেলওয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকার ডিজি, এডিজি, প্রধান প্রকৌশলী ও সিপিও কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রেখেছেন। একাধিক লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে আব্দুর নুরকে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ছাতক রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী, শ্রমিক লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় উপদেষ্টা আব্দুর নুর। স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ‘নাতিন জামাই’ পরিচয় ব্যবহার করে বহুবার বদলির পরও আবার ছাতকে ফিরেন আব্দুর নুর।

তার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতি ও লুটপাটের দায়ে অভিযুক্ত হলেও রহস্যজনক কারণে কোনো শাস্তি হয়নি। রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার প্রভাব ও টাকার কাছে নতিস্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

১৯৬৪ সালে ব্রিটিশ আমলের ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে স্থাপন করা হয়। ভোলাগঞ্জ বাংকারের ৩৫৯ একর জমি, যন্ত্রপাতি, আবাসিক ভবনসহ স্থাপনাটি রেলওয়ে সম্পদের অংশ। আনসার বাহিনী ও পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) পাহারায় থাকলেও নিয়মিত পাথর চুরি-লুট চলে আসছে। প্রতিদিন সহস্রাধিক শ্রমিক বেলচা-শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়ে পাথর তুলছে।

এসব পাথর নৌকা ও ট্রাকে করে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ক্রাশার মিলে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে আব্দুর নুরকে ছাতক থেকে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী এলাকায় বদলি করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

১১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে সিআরবি চট্টগ্রামের জুনিয়র পার্সোনেল অফিসার মহিউদ্দিন সোহেলের স্বাক্ষরিত আদেশে তাকে বদলি করা হয়েছে।

ছাতক ভোলাগঞ্জের রোপলাইনে দায়িত্বশীল কর্মকতা আব্দুর নুরকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বলছে, লুটপাটকারীদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মামলা না করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ, সমম্বয়কদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাদাপাথর লুটপাট চালায়।

দুর্নীতিবাজ আব্দুর নুরকে শাস্তির বদলে রেল কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করে দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যান। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাতে দুর্বৃত্তরা আরএনবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আরএনবি প্রত্যাহার করা হলে বাংকারে শুরু হয় প্রকাশ্য গণলুট। টাস্কফোর্স অভিযান চালালেও রাতের বেলা লুটপাট অব্যাহত থাকে।

স্থানীয়রা জানান, বিজিবি ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদেই লুট চলেছে। ইতোমধ্যে বাংকারের দুই-তৃতীয়াংশ ভূমি ধলাই নদীতে বিলীন; সম্প্রতি পাথর তুলতে গিয়ে মাটিচাপায় এক শ্রমিক নিহত হলেও আরএনবি বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করেছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, প্রশাসনের গাফিলতিতে ঐতিহাসিক ভোলাগঞ্জ ধ্বংসের পথে। আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী নেতা ও শ্রমিক লীগের সদস্যরা লুটপাটে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

সচেতন মহল মনে করে, এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, পরিবেশগত ও ঐতিহাসিক ধ্বংসযজ্ঞও। ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে কেবল সিলেটের নয়, বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক স্থাপনা। অথচ প্রশাসনের নীরবতা আর প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এটি এখন লুটেরাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সিআরবি চট্টগ্রামের জুনিয়র পার্সোনাল অফিসার মহিউদ্দিন সোহেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বদলির সত্যতা স্বীকার করেই কল কেটে দেন।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম প্রধান প্রকৌশলী, সিআরবি তানভিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে রিং দেওয়া হলে কেউ কল রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024 Sylhetbela24.com
Theme Customized By BreakingNews