বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সহোদর তিন আসামী এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলা দায়েরর দুইমাস পরও পুলিশ অদৃশ্য কারণে আসামী গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ বাদির। উপরন্তু প্রশাসনের দাপট পুঁজি করে মামলার বাদিকে প্রকাশ্যে ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মামলার বাদি মো. নেছার উদ্দিন। সহোদর তিন আসামী হলেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান ইউনিয়নের মো. জালাল উদ্দিন (৫৫) আলুবাগান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের অর্থদাতা আলীম উদ্দিন। তিন আসামীই একই পরিবারের সদস্য বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই তিন ভাই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার ছত্রছায়ায় এলাকায় দাপট চালিয়ে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান, লুটপাট, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মামলা হলেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়,ঢাকার রামপুরায় ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চলতি বছরের ১ মে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি দায়ের করেন মামলার বাদি মো. নেছার উদ্দিন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নামসহ সিলেটের জৈন্তাপুর থানার আলোচিত তিন আওয়ামী সহোদর অভিযুক্তের তালিকায়ও রয়েছেন। মামলাটির নম্বর সিআর ২২৪/২০২৫। বিচারক এ. কে. এম. গোলাম সোহয়ার মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ডিএমপি’র রামপুরা থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মো. নেছার উদ্দিন আদালতকে জানান, গত ১৯ জুলাই ২০২৪ বিকেল চারটার দিকে রামপুরার বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ‘সরকারি দলীয় ব্যক্তিদের নির্দেশে’ ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করা হয়।এই ঘটনায় বাদী নিজেও গুলিবিদ্ধ হন এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার ৭৭, ৭৮ ও ৭৯ নম্বর আসামি হিসেবে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান ইউনিয়নের তিন সহোদরের নাম পাওয়া যায়। তারা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান ইউনিয়নের মো. জালাল উদ্দিন (৫৫) আলুবাগান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের অর্থদাতা আলীম উদ্দিন।। স্থানীয়দের অভিযোগ, “শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তার ছায়া ক্ষমতা এখনো আলুবাগান এলাকায় বহাল রয়েছে। মামলার আসামিরা খোলামেলা চলাফেরা করছে, যেন কিছুই হয়নি।”