সিলেটে বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে এক আসামীকে জামিন দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৭ মে) সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক শর্তসাপেক্ষে আসামীর এই জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কিসমত রসুলপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সুপাতলা গ্রামে বাস করেন। আসামীর পক্ষে বন্ড সম্পাদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের শর্ত
জামিনপ্রাপ্ত আসামীকে দেওয়া আদালতের শর্তগুলো হচ্ছে- ৫০টি গাছ লাগিয়ে প্রতিদিন যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি শুক্রবার মসজিদে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে, আমপারার ১০টি সুরা অর্থসহ মুখস্থ ছাড়াও রাসূল (স.)-এর জীবনী পাঠ, পড়তে না পারলে কারো মাধ্যমে শুনতে হবে; এসব শর্তসহ রয়েছে বেশকিছু নির্দেশনা। এসব নির্দেশনা সম্বলিত একটি বন্ড তৈরি করে, এতে আসামির স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
মুক্তির পর সাদ্দাম হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আদালতের রায়ে আমি খুব খুশি। খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশে ভুল পথে গিয়েছিলাম। এখন থেকে আদালতের নির্দেশনা পালন করে ভালো পথে চলতে চাই।
জানা যায়, আদালতের শর্ত প্রতিপালনে নিশ্চয়তাস্বরূপ ৫শ টাকার বন্ড সম্পাদনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এতে আরও কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে- আগামী ১ বছর প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে এবং তার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। উক্ত সময়ে কোনো অপরাধ করা যাবে না। শান্তির লক্ষ্যে সদাচরণ করতে হবে এবং আদালত, প্রবেশন অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলব মতে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হতে হবে। উক্ত সময়কালে তিনি তার পরিবারের নির্ভরশীলদের প্রতি যত্নশীল হবেন এবং পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখবেন। প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি না নিয়ে তিনি পেশা ও বাসস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন না। সব সময় আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট বাসস্থান বা পেশায় থাকতে হবে। মাদক সেবন ও বিক্রয় এবং মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবেন না।