ভারতের ত্রিপুরায় টানা ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের প্লাবিত হচ্ছে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল। ভারতীয় উজানের ঢলে নদীগুলোর পূর্বে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয় জনপদ আবারও ডুবে যাচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি মাসের ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বন্যায় ওই তিন নদীর ৪১টি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। এরমধ্যে ৬টি স্থানে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতকাজ সম্পন্ন হলেও ২৮টি স্থানে এখনো কাজ চলছে। নতুন করে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ভাঙা স্থান দিয়ে আবারো লোকালয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত জুন-জুলাইয়ের ভয়াবহ বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর শতাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে পড়ে। এ অবস্থায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলা বাঁধ পুনঃনির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। দুর্বল তদারকি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই প্রতিবছর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
পরশুরামের পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর, চিথলিয়া এবং ফুলগাজীর কয়েকটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পশ্চিম অলকার বাসিন্দা হোসেন মিয়া বলেন, “আমাদের এলাকায় বৃষ্টি না হলেও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নামা পানিতে প্রতি বছরই এভাবে ডুবতে হয়। আমাদের এ দুর্ভোগের কি কোনো শেষ নেই?”
ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে মাত্র ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ত্রিপুরা অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মুহুরী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, সোমবার দুপুর ১টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র ১২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। খুব শিগগিরই তা বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।