1. admin@sylhetbela24.com : admin :
October 14, 2025, 10:26 am
বিজ্ঞপ্তিঃ
সিলেট বেলা ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম! আপনার আশে পাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ আমাদেরকে জানাতে sylhetbela247@gmail.com এ পাঠিয়ে দিন। আমরা যাচাই বাছাই শেষে তা যথারীতি প্রকাশ করবো। আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মাছ-মুরগিসহ সবকিছুর দাম চড়া

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, আগস্ট ২৯, ২০২৫
  • 25 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

বেলা প্রতিবেদক:

সিলেটসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় সবজির বাজারে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে গেলে ক্রেতাদের মুখে একটাই অভিযোগ- সবজির দামে আগুন। সাধারণ মানুষের ভাষায় বলা যায়, বাজারে ঢুকলেই যেন আগুন লেগে যাচ্ছে পকেটে। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি, অন্যদিকে সবজি কেনার ক্ষেত্রে আর্থিক চাপ হয়ে উঠছে অসহনীয়। ফলে বাজারে গিয়ে নিত্যপণ্যের ঝুড়ি ভরতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

সিলেট নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। পটল ৭০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, চড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি মুঠো ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

এদিকে আলুর দামও বাড়তি। কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়ক দিন আগেও ২০ টাকায় পাওয়া যেত। এছাড়া কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল থাকলেও তা ভোক্তাদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং সংরক্ষণ সুবিধার অভাব— সব মিলিয়ে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে।

কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী রওশন আরা বলেন, এক কেজি বেগুন কিনতে গেলেই এখন ৮০ টাকা লাগে। প্রতিদিনের রান্নার জন্য যা লাগে, তা কিনতে গিয়েই বাজেটের অর্ধেক শেষ হয়ে যায়।

অন্যদিকে রিকশাচালক রহিম মিয়ার অভিযোগ, আগে ২০০ টাকায় তিন–চার রকম সবজি আনা যেত। এখন এক–দুই রকম কিনতেই টাকা শেষ।

তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের হাতেও সবজির সরবরাহ কম। ব্যবসায়ী জালাল হোসেন বলেন, জেলাগুলো থেকে সবজি কম আসছে। আবার ট্রান্সপোর্ট খরচও বেড়ে গেছে। লোকসান দিয়ে আমরা তো কম দামে বিক্রি করতে পারব না।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, কৃষকদের সরাসরি বাজারে বিক্রির সুযোগ দেওয়া, কোল্ড স্টোরেজ বাড়ানো, পরিবহন খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং বাজার মনিটরিং জোরদার না করলে সবজির বাজারে অস্থিরতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে, সড়ক ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে।

বাজার করতে আসা রহিম শেখ বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এমন যে কৃষক মাঠে যে দামে বিক্রি করছেন, শহরে এসে সেই দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় মৌসুমি সবজিগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমছে, দাম বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, সবজি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় এই বাজারে লাগামহীন দাম সাধারণ ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। অনেক পরিবারই এখন খাবারের তালিকা থেকে একাধিক সবজি বাদ দিচ্ছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ না নেয়, তবে বাজারের এই অস্থিরতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিলেট/আবির

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024 Sylhetbela24.com
Theme Customized By BreakingNews