১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশের একটি ডোবা থেকে মায়েশা (২০) নামে এক অন্তস্বত্তা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন লাশ পার্শ্ববর্তী ডোবার কচুরিপানার ভেতরে লুকিয়ে রাখে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ উল্লা জানান, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ডোবার ভিতরে কচুরিপানার মধ্যে একটি মৃত দেহের দুটি পা বের হয়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। গৃহবধূ মায়েশার স্বজনরা তার পরিচয় সনাক্ত করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বাশুরী রুমানা (৫২) কে আটক করেছে। নিহত মায়েশা উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ১ বছর আগে মাধবপুর সোনাই আশ্রয়ন প্রকল্পে মৃত মুক্তিযোদ্ধা হাসিম মিয়ার ছেলে সোহাগ ওরপে রমজান মিয়ার প্রেম করে মায়েশাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়। প্রায় ১০দিন আগে মায়েশা নিখোঁজ হয়। বহু খোঁজাখুজি করেও সন্ধান মিলছিল না। এরই মধ্যে স্বামী আত্মগোপনে চলে যান।
পরিবারের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ উল্লা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহাগের মা রুমানাকে (৫২) আটক করা হয়েছে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।