1. admin@sylhetbela24.com : admin :
June 22, 2025, 2:45 am
বিজ্ঞপ্তিঃ
সিলেট বেলা ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম! আপনার আশে পাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ আমাদেরকে জানাতে sylhetbela247@gmail.com এ পাঠিয়ে দিন। আমরা যাচাই বাছাই শেষে তা যথারীতি প্রকাশ করবো। আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

মৌলভীবাজারে আনাচে-কানাচে এখন শামুকখোল পাখি

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫
  • 61 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

খাদ্যের সন্ধানে শামুকখোল পাখি দলবেঁধে এসেছে মৌলভীবাজারের ডোবা-নালা ও ক্ষেতের মাঠে। উপযুক্ত পরিবেশ পর্যাপ্ত খাবার ও প্রজনন সুবিধার কারণে জেলার আনাচে-কানাচে এখন শামুকখোলের দেখা মিলছে অহরহ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শামুকখোল এখন দেশের বিভিন্ন খাল-বিল এবং নদীর কাছাকাছি এলাকাগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। এরা প্রজনন শেষে আর দেশের বাইরে যাচ্ছে না। ফলে দেশের আনাচে-কানাচে সহজেই এ পাখির দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

শামুকখোল এশিয়া মহাদেশের আদি প্রজাতির একটি পাখি। এর বৈজ্ঞানিক নাম-Anastomus oscitans. শামুকখোল বা শামুকভাঙ্গ (Ciconiidae) সাইকোনিডি গোত্র বা পরিবারের অর্ন্তগত (অ্যানাস্টোমাস) এক প্রজাতির শ্বেতকায় বৃহদাকৃতির পাখি। সিলেট অঞ্চলে এই পাখি শামুকভাঙ্গা নামে পরিচিত।

বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, ‘‘শামুকখোল পাখি মূলত আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালীন সময়ে আসত। এজন্য এদের পরিযায়ী পাখি বলা হতো। কিন্তু এখন এরা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তাই এদের দেশীয় পাখি হিসেবে গণ্য করা হয়।”

মৌলভীবাজারের কাওয়াদীঘী হাওর পাড়ের বাসিন্দা মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হাওড়-বিল ঝিল, নদী-নালায় শামুকখোল কলোনি স্থাপন করেছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে বাঁধাহীনভাবে শামুকখোল এখন উন্মুক্ত আকাশে উড়ছে।’

‘এছাড়াও সিলেটের টাংগুয়ার হাওর, হাকালুকি, কাওয়াদীঘি ও হাইলহাওর এলাকায় এখন শামুকখোল দলে দলে প্রজনন করছে। সৌখিন শিকারিরা মাঝে মাঝে বন্দুক দিয়ে শিকার করায় এরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।”

তিনি বলেন, “এ পাখির ঠোঁটের সঙ্গে অন্য কোনো পাখির ঠোঁটের মিল নেই। শামুকখোল পাখির ঠোঁটের নিচের অংশের সঙ্গে ওপরের অংশে বড় ফাঁক। এরা এ বিশেষ ঠোঁটে শামুক তুলে চাপ দিয়ে শামুকের ঢাকনা খুলে ভিতরের নরম অংশ খেয়ে নেয়। মূলত শামুকের ঢাকনা খোলার শৈল্পিক কৌশলের কারণেই এ পাখির নামকরণ করা হয়েছে শামুকখোল পাখি।”

পাখি বিশেষজ্ঞ ড. মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘‘দেশে শামুকখোল পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র খরার কারণে এ পাখির প্রজনন খুবই কম হচ্ছে। বিগত কয়েক দশকে কিছু কিছু দেশে আশঙ্কাজনক হারে শামুক খোলের সংখ্যাও কমেছে। ফলে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রকৃতি সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ আইইউসিএন এ পাখিটিকে ন্যুনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।”

তিনি বলেন, ‘‘এদিকে খাল-বিল এবং আবাদি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে দেশেও শামুকখোল পাখিসহ অন্যান্য প্রাণিকূল হুমকির মধ্যে রয়েছে। কীটনাশকের ফলে দেশীয় অনেক প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে।”

সিলেট বেলা / এনসি / ১১

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024 Sylhetbela24.com
Theme Customized By BreakingNews