তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদী সংলগ্ন ‘রাজারগাঁও অদ্বৈত মন্দিরের জায়গা’ কেটে বালুর পাহাড় গড়েছেন জেলা শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন। ৫ আগস্টের পর সরকারের পটপরিবর্তন হলেও এখান থেকে বালু লুট থামছে না। দিনের পর দিন শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন ও তাঁর সহযোগিদের এমন কর্মকাণ্ডে অদ্বৈত মন্দির এবং অদ্বৈতবাড়ি থেকে শাহ্ আরেফিন (র.) মোকামমুখী সড়ক বর্তমানে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
রাজারগাঁও গ্রামের ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান উদ্দিনের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে নদীর পাড় আর থাকবে না, সাগর হয়ে যাবে। যাদুকাটা বালু মহাল আইনী জটিলতায় পহেলা বৈশাখ থেকে ইজারাবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ নদী থেকে বালু উত্তোলনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরপরও শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান চক্রদের থামানো যাচ্ছে না।
জানা যায়, যাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থিত অদ্বৈত মন্দির ও আশপাশের ফসলি জমি থেকে রাত—বিরাতে সেইভ, ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে সংঘবদ্ধ একটি বালুখেকো চক্র। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা শ্রমিকলীগের সহ—সাধারণ সম্পাদক বুরহান উদ্দিন। আর তাকে সহযোগিরা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা মালেক, ফারুক, সাইফুল, শাহআলম, নুরুল আমিন, কবির মিয়া ও কিরণ রায়। এই চক্ররা হাজার হাজার ঘনফুট বালু লুট করে বর্তমানে রাজারগাঁও জাঙ্গালহাটি পয়েন্টের উত্তরপাশে মজুত করে রেখেছে। মজুত করা বালু সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহের অপেক্ষা রয়েছে।
অদ্বৈতমন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অদ্বৈত রায় বললেন, শুক্রবারও ওসি স্যারকে বলেছি মন্দিরটিকে বালুখেকোদের হাত থেকে রক্ষা করেন। যে যেভাবে পারছে, মন্দিরের জায়গা থেকে বালু লুট করে নিচ্ছে, এখন মন্দিরটি হুমকির মুখে পড়েছে।
জেলা শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন বলেন, অনেকদিন ধরে এলাকার বাইরে আছেন তিনি। মজুতকৃত বালুর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, এই বালুও আমার নয়। মন্দিরের জায়গা বা নদীর পাড় কেটে বালুও উত্তোলন করেন না তিনি, এসব প্রতিরোধে এখানকার মানুষকে সচেতন করে থাকেন তিনি।