সিনিয়র সাংবাদিক ও কবি দেবব্রত রায় দিপন বলেছেন, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল নাম বাদ দিলে পুরো বাংলা সাহিত্য অপূর্ণতায় ভরে যাবে। রবীন্দ্র চোখে নজরুল ছিলেন বিস্ময় বালক। একই সময়ের ফ্রেমে কিছু সময় কাটিয়েছেন দুইজন। যখন রবি ঠাকুর ফুলেল সৌরভে গুণমুগ্ধ করেছিলেন বিশ্ব ,ঠিক তখনই নজরুলের অমরত্ব লাভের আগমন। রবীন্দ্রনাথ যখন বিশ্ব মঞ্চে বাংলা ভাষাকে তুলে ধরলেন ,তখন নজরুল ত্রিশালের দরিরামপুরে। তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে এসে আমরা রবীন্দ্র-নজরুল কে দা’কুমড়ো সম্পর্ক নিয়ে গুজব ছড়াতে অভ্যস্ত ।
তিনি রবিবার (২৫ মে) বিশ্ববাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্বকবি রকীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখছিলেন। সংগঠনের সভাপতি কবি রাহনামা শাব্বির এর সভাপতিত্বে ও ছড়াকার শহীদুল ইসলাম লিটনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট কবি আয়েশা করিম মুন্নি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা বাঁশি খূৎহৈবম, কবি ইশরাক জাহান জেলী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বায়োজীদ মাহমুদ ফয়সল, সংগীত পরিবেশন করেন সাংবাদিক আব্দুর রহমান হীরা, গীতিকার কুবাদ বখত রুবেল, কবি সেনুয়ারা আক্তার চিনু, আবৃত্তি করেন জুই ইসলাম,স্নিগ্ধা চৌধুরী, সংগীত পরিবেশন করেন রুনা সুলতানা, আবৃত্তি করেন আনোয়ার হোসেন ,সুয়েজ হোসেন, আলোচনা করেন কলাম লেখক লোকমান হেকিম, রাসেল আহমেদ,শিব্বির আহমেদ, শিপারা শিপা, কাওছার আরা বিথী, নাছরিন খান ,তাহমিনা আহাদ রোজী,জেরিন আক্তার ,ঝুমা বেগম,মাজেদা বেগম,আব্দুল হান্নান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাহনামা শাব্বির বলেন, নজরুল-রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল প্রীতির ,অনুরাগ,গুণাগ্রাহিতার এবং সেই সাথে অভিমান ও অভিযোগের ।রবীন্দ্রনাথের কাছে নজরুল ছিলেন বাধ্যগত কিশোর । আর নজরুলের কাছে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন গুরু । এক কথায় সম্পর্কটা গুরু শিষ্যের । রবীন্দ্র চোখে নজরুল বিস্ময় বালক । সুতরাং এই অস্থির সময়ে রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুল ইসলামকে বেশি করে পাঠ এবং ধারণ করার মধ্য দিয়ে পরিশুদ্ধ হতে হবে।