রাজধানীতে আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন প্রচণ্ড গরম ছিল। বিকেল থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। এর পর বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটের দিকে শুরু হয় কালবৈশাখী। ঘণ্টায় এর গতিবেগ ছিল ৬৬ কিলোমিটার। এ সময় বৃষ্টি হয় সামান্যই। আগামীকাল শুক্রবারও দেশের ১১টি অঞ্চলে বজ্রঝড় হতে পারে। বাতাসের গতিবেগ উঠে যেতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছিল। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটি অবশ্য এখন দুর্বল হয়ে গেছে।
রাজধানীতে আজ যে ঝড়ের গতি ছিল, তা এ মাসে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর। তিনি বলেন, আকাশ বেশ কালো করে মেঘ জমেছিল। কিন্তু যথেষ্ট ঝোড়ো হাওয়া থাকলেও বৃষ্টি ততটা হয়নি।
আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর তপ্ত অবস্থা দেখে বিকেলে যে এমন ঝোড়ো হাওয়া আসবে, তা আন্দাজ করা কঠিন ছিল। বিকেল ৪টা পর্যন্ত গরম ছিল।
আজ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু বিকেল ৫টা থেকে আবহাওয়া একদম বদলে যেতে শুরু করে। এর পর মেঘের গর্জনের সঙ্গে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে; ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, দিনে একটানা দীর্ঘ সময় বেশি তাপমাত্রা থাকলে এবং বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে বিকেলে কালবৈশাখীর জন্য অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়। আজ এ কারণেই কালবৈশাখী আঘাত হানে।