সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩), শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন (৫৫), মঞ্জুরুল আলম (৪৯), কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২), গোলাম মোস্তফা (৮১), মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪), জাকির হোসেন (৭৪), তৌছিফুল বারী খাঁন (৭২), আমির হোসেন সুমন (৩৭), আল আমিন (৪০), নাজমুল আহসান (৩৫), সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬), শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪), দেওয়ান মোহম্মদ আলী (৫০) ও আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা অনুষ্ঠানে হট্টগোলের পর পুলিশ হেফাজাতে নেওয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ ১৪ জনকে। পরে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
গতকাল দুপুরে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শিরোনামে এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
এ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয় করছেন গণফোরামের নেতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বীর প্রতীক) ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণফোরামের সাবেক সভাপতি কামাল হোসেনের। তবে তিনি আসার আগেই সেখানে হট্টগোল শুরু হয়।
দুপুরের ওই ঘটনার পর ডিআরইউ থেকে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন ও সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম পান্নাসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।