লুটপাট তদন্তে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের একটি দল। বুধবার (১৩ আগস্ট) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে লুটের ঘটনায় বুধবার ঘটনাস্থলে যায় দুদকের একটি টিম।
দুদক সিলেট অফিসের উপ-পরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের তদন্তদল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপ-পরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাত বলেন, ‘যাদের যোগসাজশে নির্বিচারে পাথর লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ ধরনের লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি। পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সাদাপাথরে ব্যাপক লুটপাটের সাথে প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলেও ধারণা করছে দুদক। এদিকে, সাদাপাথর লুট সম্পন্নের পর টনক নড়েছে জেলা প্রশাসনের। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম সাদাপাথর। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জস্থ এই পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সমাগম হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সাদাপাথর লুট শুরু হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন নিরব ছিল। গত কয়েকদিনে লুটেরাচক্র সাদাপাথরের সকল পাথর লুটে নেয়। বিষয়টি সারাদেশে আলোচিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের।