প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায় সাদাপাথর নিঃশেষ হয়ে গেছে। বিগত দুই দশক ধরে পরিবেশকর্মীরা সিলেটের পাথরের স্বার্থে যেভাবে কথা বলেছে, গত এক বছরেও একই ভাবে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের অসংখ্য প্রতিবেদনে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেটের সংগঠকদের বক্তব্যে তা উঠে এসেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরও ধরার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে পরিস্তিতি পর্যালোচনা করেছেন।
এসব বক্তব্যে সতর্ক করা হয়েছিল ধলাই নদের এ পাথর লুট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সিলেটের এই প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যাবে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে সাদাপাথর নিঃশেষ হয়ে গেলো! এই সম্পদ লুন্ঠনের জন্য দায়ী শুধু পাথরখেকোরা নয়। পাথর লুন্ঠনের পেছনে কোন কোন রাজনৈতিক দলের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্যের কথা আলোচিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। সরকারের উচিৎ তাদের মুখোশ উন্মোচন করা। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে পাথর লুটেরাদের দমনে কেবল ব্যর্থ হতে দেখেনি; দেখেছে নতজানু হতে। তাই সহস্র কোটি টাকার পাথর ও বালু লুন্ঠনের ভাগবাটোয়ারাতে প্রশাসনের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে।
এ অবস্থায় সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ প্রয়োজন। জাফলং, ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়া, শ্রীপুর, লোভাছড়া সহ বিভিন্ন এলাকার পাথর সম্পদ লুণ্ঠন বন্ধ করতে হলে ঘটে যাওয়া লুটপাটের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার কোন বিকল্প নাই।
এই ব্যাপক দুর্নীতি ও পরিবেশ ধ্বংস করে যারা প্রকৃতি ও স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তাদের শাস্তির দাবিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সিলেট এর উদ্যোগে (১৪ আগস্ট) বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা সুরমা নদী তীরবর্তী চাঁদনীঘাট এলাকায় এক সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত নাগরিকবন্ধন এ ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচীব শরীফ জামিল উপস্থিত থেকে মুল্যবান বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।