সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসারে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সরকারি দিঘী থেকে সেচের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাছ আহরণের অভিযোগ উঠেছে একদল প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী বলছেন, সরকারের কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাতের আঁধারে এই লুটপাট চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ জোবায়ের আহমদ নামের এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, উপজেলার কাজলসার মৌজায় তফশিলভুক্ত ১.১১ একর আয়তনের সরকারি দিঘীটি ব্রিটিশ আমলে খনন করা হয়। বহু প্রজন্ম ধরে এটি স্থানীয়দের বিশুদ্ধ পানীয় জলের অন্যতম উৎস। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দিঘীটি পুনঃখনন ও আধুনিকায়ন করে সরকার। পাশাপাশি তাজা মাছের যোগান নিশ্চিত করতে সরকারি খরচে মাছ চাষও করা হয়। কিন্তু গত ১ আগস্ট রাতের অন্ধকারে স্থানীয় প্রভাবশালী চেরাগ আলীর ছেলে সেলিম আহমদ, আব্দুর রহমানের ছেলে বিলাল আহমদ, মুদরিছ আলীর ছেলে আলমাছ আহমদ, আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে দুটি সেচপাম্প বসিয়ে দিঘীর পানি সেচে মাছ আহরণ করা হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়, কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংস্থান ও তাজা মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা। অথচ ব্যক্তিস্বার্থে এই প্রকল্পকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমানের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।