সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকায় নিজ বাসার ভেন্টিলেটরের সাথে নাইলনের তার পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া আজমান আহমেদ দানিয়েল (১৯) নামের এক স্কুল ছাত্রের লাশ বুধবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন এবং এই ঘটনায় অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আজমান আহমেদ দানিয়েল স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহের ইন্টারমিডিয়েট বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং এয়ারপোর্ট থানাধীন সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার নূরানী ৩৬/৯ বাসার বাসিন্দা রাশেদ আহমদের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকায় নিজ বাসার ভেন্টিলেটরের সাথে নাইলনের তার পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া এক আজমান আহমেদ দানিয়েল (১৯) নামের স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে আজমান আহমেদের পিতা রাশেদ আহমেদ বলেন, প্রি-টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় কলেজের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের ডাকেন। ভিকটিমের পিতা মাতা দুই তিনদিন আগে কলেজে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করলে প্রি-টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় তাকে তারা আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিবেন না বলে জানান। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে অমনোযোগিতা এবং নিয়মিত ক্লাসে অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন। রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় তার অভিভাবকদের মন ও খারাপ হয়। এর আগে আজমানের পিতা তাকে অন্য একটি কলেজে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যে আজমান বুধবার কলেজে গিয়ে কলেজ থেকে ফিরে বাসায় এসে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপালসহ কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই। তিনি জানান, শিক্ষকগণ এমন বকা দেন নাই যে তার জন্য অভিযোগ করা যায়।
এদিকে আজমানের মত্যুর খবরে ছড়িয়ে পড়লে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার সহপাঠী ও ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এমনকি অনেক সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও স্কলার্সহোমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাকেদের সাথে খারাপ আচরণ, পর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষক না থাকা, শিক্ষার্থী খারাপ করলে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেন।