সিলেট নগরীর শাহপরাণ (রহ.) থানা এলাকায় এক নারীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রথমে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করার চেষ্টা করা হলেও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে সেটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন স্বামী।
ঘটনা ঘটেছে গত ১৪ জুলাই রাত আনুমানিক ১০টার দিকে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সফি আহমদ চৌধুরী সুমন (৪৮) তার স্ত্রী নিশাত ফাতেমা চৌধুরী (৩২)-কে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান নিশাত। এরপর ১৬ জুলাই ভোররাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে অভিযুক্ত স্বামী নিশাতের ফুফাতো ভাইকে ফোন করে জানান যে, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশাতের নিথর দেহ দেখতে পান। তবে নিহতের কপাল, গলা, দুই হাতের তালু ও বাহুতে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন এবং কালচে জখম দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে। পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত স্বামী।
এ ঘটনার পর শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশ সক্রিয় হয়। থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল আরামবাগের ৭/২ রশিদ মঞ্জিলে উপস্থিত হয়। এসআই হালিমা আক্তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পরে পুলিশ নিহতের স্বামী সফি আহমদ চৌধুরী সুমনকে গ্রেফতার করে। তার স্থায়ী ঠিকানা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পরচক গ্রামে। তিনি মৃত মহিউদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও নাদিরা চৌধুরীর ছেলে। বর্তমানে তিনি স্ত্রীসহ আরামবাগের ৭/২ রশিদ মঞ্জিলে বসবাস করছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর শাহপরাণ (রহ.) থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।