চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে ‘ফল বিপর্যয়ের’ ঘটনা ঘটেছে। এই শিক্ষা বোর্ডে গত ১২ বছরের মধ্যে এবার পাসের হার সবচেয়ে কম।
আজ ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির এই ফল প্রকাশ করেন।
ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিলেট বোর্ডের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই ফেল করেছে। ৩২৩টি কলেজের মধ্যে চারটিতে কেউ পাস করেনি। এই বোর্ডে পাশের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
২০২৪ সালে এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭১ দশমিক ৬২, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৪০, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৮০, ২০২০ সালে শতভাগ, ২০১৯ সালে ৬৭ দশমিক ০৫, ২০১৮ সালে ৭৩ দশমিক ৭, ২০১৭ সালে ৭২, ২০১৬ সালে ৬৮ দশমিক ৫৯, ২০১৫ সালে ৭৪ দশমিক ৫৭ ও ২০১৪ সালে ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণাকালে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ইংরেজিতে বেশি খারাপ হয়েছে। ফলে সামগ্রিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে।’
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডের ৬৯ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ছেলে ২৭ হাজার ৭৬৪ জন ও মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৮ জন। পাসের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৭০ জন। এর মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৮৭০ এবং মেয়ে ২২ হাজার ১ জন।
মোট ১৬০২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন, এর মধ্যে ছেলে ৬৮১ জন এবং মেয়ে ৯২১ জন।
পাসের হারে পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা, পাসের হার ৪৯ দশমিক ৯৬ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ফলাফল অনুযায়ী পাসের হার সবচেয়ে কম মানবিক বিভাগে। এই বিভাগে পাস করেছেন ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। আর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
জিপিএ-৫ পাওয়া এক হাজার ৬০২ জনের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের এক হাজার ৩৭৯ জন, মানবিক বিভাগের ১৫৩ জন আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৭০ জন।
গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৬৯৮ জন।