মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরিক্ষায় সিলেট বোর্ডে এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৯১ এবং মেয়ে ১ হাজার ৮২৩ জন। গত বছর সিলেট বোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ৮৫.৩৯ শতাংশ। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৬৯৮ জন। বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৩ হাজার ১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ২১৯ জন পরিক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট পরিক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ২১৯জন। তার মধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৯১ জন ও মেয়ে ১ হাজার ৮২৩ জন। বিভাগ ভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ৭৭.৪৭ শতাংশ, মানবিকে ৬৪.৭১ শতাংশ এবং ব্যবসা প্রশাসনে ৭৬.৯৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ‘গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে না পারায় পাসের হার কমেছে। বিশেষ করে মানবিক বিভাগে ফেল করা শিক্ষার্থীর হার বেশি। দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের অনেক প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন গণিত ও ইংরেজি শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা, অমনযোগিতা, এবং শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবও খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘সব দিক বিবেচনায় সার্বিক ফলাফলে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। যেসব বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী।