সিসিকের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নগরের রায়নগর এলাকায় বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রবাসীর নাম কামরুজ্জামান। তিনি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। আইন ভঙ্গ করে ভবন নির্মানের অভিযোগ করেন ভবন মালিকের প্রতিবেশি ও রায়নগর এলাকার বাসিন্দাি ফয়েজ আহমদ। তিনি মঙ্গলবার (৭ মে) সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
জানা গেছে, ভবন মালিক কামরুজ্জামান সিলেটে সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রায়নগরে একটি ভবন নির্মানে সিসিকের অনুমতি গ্রহন করেন। তবে অনুমতি পত্রে ১ তলা বিল্ডিং উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে ভবনটি ৫ তলা। একই সাথে ভবন নির্মানকালীন মানা হয় নি ফায়ার সেফটি আইন। আইন অনুযায়ী নগরের ভেতরে কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে সেই ভবনের প্রবেশের সড়ক অন্তত পক্ষে ১৭ ফুট হতে হবে। যে যেকোনো অঘটন ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা যাতে সহজে বাসায় গাড়িসহ ডুকতে পারেন। কিন্তু এই আইন অমান্য করেই পাঁচ ফুটের প্রবেশ রাস্তার ভেতরে ‘আতরাহ ভিলা’ নামক একটি পাঁচতলা ভবনটি নির্মান করা হয়েছে। তবে সিসিক বলছে, আইন ভঙ্গ করার সুযোগ কারো নেই। এমনটি হলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানীনগর থানার গোয়ালাবাজার খাদিমপুর গ্রামের স্থায়ী প্রবাসী কামরুজ্জামান একযুগ পূর্বে আনুমানিক ৯ শতক জমি ক্রয় করে সিটি কর্পোরেশনের আইন না মেনে আতরাহ ভিলা নামে একটি পাঁচ তলা ভবন নির্মান করেছেন। তিনি জমি ক্রয় করে ১২ বছর আগে একতলা এবং গত তিন বছরে কৌশলে বাকি চারতলা বিনা অনুমতিতে নির্মান করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে এই ভবনে ৯টি পরিবারের প্রায় ৪০ জন মানুষ ভাড়া দিয়ে বসবাস করছেন। বসবাসকারীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ নারী-পুরুষও আছেন। ফলে বাসায় বসবাসকারী মানুষের জীবন রয়েছে ঝুঁকিতে।
অভিযোগ পত্রে ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন,ভবনটিতে আগুন লাগলে ভবনে থাকা মানুষকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করা অসম্ভব হবে। এই সড়ক দিয়ে দুটি মোটরসাইকেলও একসাথে যাওয়া আসা করতে পারে না। অনেক কষ্টে একটি রিকশা প্রবেশ করলেও কোনো সিএনজি অটোরিকশা প্রবেশ করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে কামরুজ্জামানের ভবনে থাকা ভাড়াটিয়ারা আগুন লাগলে জীবননাশের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ওই ভবনে যদি কোনো কারণে অগ্নিকান্ড ঘটে তবে আমার টিনসেডের ঘরসহ আশপাশের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, ভবন নির্মানের অনুমোতিসহ ফায়ার সেফটি বিষয়টি জানা নেই । তিনি অভিযোগটি খতিয়ে দেখবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।