তাহিরপুর প্রতিনিধি :1
তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা যাদুকাটা নদীর তীরে লাউড়েরগড় এলাকায় হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) ওরস উদযাপন হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে। নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী এবছর আগামী ২৭ মার্চ হতে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ওরস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুসলমানদের এবাদতের মাস পবিত্র রমজান ও ওরসের নির্ধারিত তারিখেই এবার লাইলাতুল কদরের রাত। পবিত্র রমজান ও লাইলাতুল কদর হওয়ায় এবছর শাহ আরেফিন (রহ.) ওরসের সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে শাহ্ আরেফিন (রহ.) উদ্যাপন কমিটি।
রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওরসের সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও ওরস নিয়ে কোন অপপ্রচার না করার আহবান জানানো হয় জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায়। অপপ্রচারকারীদের শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে বলেও জানান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রসাশক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
প্রসঙ্গত, হযরত শাহ্ জালাল (রহ.) সিলেটের সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী ছিলেন হযরত শাহ আরেফিন (রহ.)। প্রকৃতপক্ষে হযরত শাহ আরেফিনের (রহ.) মোকাম সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে অবস্থিত হলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী—পুরুষ ওইসময় ওরস মোবারকে আসেন এবং মোকাম জিয়ারত করেন। শাহ আরেফিন (রহ.) অনেকের কাছে জিন্দাপীর হিসেবে পরিচতি। প্রতি বছর ওরস মোবারককে কেন্দ্র করে ভক্ত আশেকানের সমাগমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো সীমান্ত এলাকা। সাধারণ দর্শনার্থীরা আসেন শাহ আরেফিনের (রহ.) স্মৃতি বিজড়িত বাংলাদেশ আস্তানায় এবং সেখান থেকেই পরখ করে নেন অদূরে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে অবস্থিত শাহ আরেফিনের (রহ.) আস্তানা। কেউ আসেন মানত নিয়ে, আবার কেউ দোয়া নেন, কেউবা মোকাম জিয়ারত করেন।