সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করছেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা এ মানববন্ধন করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তারা শান্তিগঞ্জস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় জনতাও অংশ নেন।
শান্তিগঞ্জস্থ ক্যম্পাসের সামনে সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কে বিক্ষোভ করে তারা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এ ঘটনায় আলাদাভাবেও আজ বৃহস্পতিবার দুটি সংগঠন মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাসায় ফেরার পথে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান স্নেহাসহ তিনজন। এ ঘটনায় ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন বাস ও অদক্ষ চালকের কারণে সুনামগঞ্জ সিলেট সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা ঘাতক বাসচালককে গ্রেপ্তার, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ, ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধসহ নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আর ক্লাস করা হলো না আমাদের মেধাবী বোন স্নেহার। দুর্ঘটনা নয় তাকে সড়কে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা দোষীদের গ্রেপ্তার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নিরাপদ সড়কের দাবিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মানববন্ধন করেছি। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি পালন করব।’
কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ হোসেন বলেন, ‘সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। আমরা নিরাপদ সড়কের দাবি ও আমাদের ক্যাম্পাসের সহপাঠীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছি। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আগামীতে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে রাস্তায় নামব।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কর্মসূচি পালন করছে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমাদের খেয়াল আছে।’