তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজুকে জেলা সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ত্যাগ-নিষ্ঠার কারণে এই দাবি এখন আরও জোড়ালো হচ্ছে।
কামরুল হাসান রাজু ১৯৯৬ সালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রকট হন। সাংগঠনিক দক্ষতায় পরবর্তীতে পৌর ছাত্রদলের সাঃ সম্পাদক, ১৯৯৮ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সম্মানিত সদস্য,জেলা ছাত্রদলের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক, জেলা জাতীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক, ২০১০-২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক, বর্তমানে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি রাজপথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, জেল জুলুম,মামলা হামলার শিকার হন,২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদরের যুবদল কর্মী মফিজুল হাসান বলেন, কামরুল ইসলাম রাজু শুধু নেতা নন, তিনি তৃণমূল কর্মীদের কাছে পরিবারের একজন সদস্যের মতো। আন্দোলন হোক বা বিপদ—তিনি পাশে থাকেন। আমরা চাই, তিনিই হোন জেলা যুবদলের সভাপতি।
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি (প্রার্থী) আফজাল হোসেন বলেন একজন কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে কামরুল ইসলাম রাজু সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য। তিনি সভাপতির দায়িত্ব পেলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।
তৃণমূল কর্মীদের মতে, কামরুল হাসান রাজু দক্ষ রাজনৈতিক নেতা জেলা বিএনপি’র সাবেক সাঃ সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নূরুলের দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে তৃণমূল থেকে তিল তিল করে রাজনৈতিক কলাকৌশল প্রজ্ঞা, সংগঠন পরিচালনার শিক্ষা অর্জন করে বেড়ে ওঠেছেন। হয়েছেন,যুব সমাজের আইডল,রাজপথের স্লোগান মাস্টার, হাজারো কর্মী তৈরীর কারিগর। জীবনে কখনো,প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। হয়েছেন বিএনপির পরিক্ষিত সৈনিক। কামরুল হাসান রাজু, নিজ কর্ম গুণেই, কর্মীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম দক্ষতার সাথে লোভ লালসার উর্ধ্বে গিয়ে, দলীয় নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।