জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) হবিগঞ্জ জেলা কমিটি গঠনের মতবিনিময় সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে শহরের প্রেসক্লাবে দলটির হবিগঞ্জ জেলা কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সিলেট বিভাগীয় সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক।
জানা যায়, উক্ত মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের দেখা যায়। এ নিয়ে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা নানান ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।
তারা বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের যে সকল নেতারা গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ও জনতার উপর হামলা করেছে তারাই আজ এই মঞ্চে বসে আছে।
তবে এ বিষয়ে এনসিপি নেতাদের রয়েছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। প্রধান অতিথি সংগঠক নাহিদ উদ্দিন তারেক বলেন, আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যারা কাজ করতে আগ্রহী, সংগঠনের নীতি আদর্শ, সংগঠনের নেতৃত্ব মেনে যারা রাজনীতি করতে আগ্রহী তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে গত দিনে বসেছিলাম, আজও বসেছি। আমরা মতবিনিময়ের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য শুনছি। আমরা প্রত্যেকের তথ্য এবং সিভি নিয়ে যাচাই বাছাই করব। পরে আমাদের চিন্তা চেতনার সঙ্গে যাদের মিল থাকবে এবং যাদেরকে নেওয়া যায় তাদেরকে ঠিক করা হবে।
এদিকে দলের আরেক নেতা পলাশ মাহমুদ বলেন, আগস্টের ৪ তারিখে সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবু জাহিরের সঙ্গে যারা ছাত্র-জনতার উপর হামলা করেছে তাদের অনেককে আমরা আজ মঞ্চে দেখেছি। অর্থের মাধ্যমে যারাই এদেরকে এনসিপিতে নিয়ে আসছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো ‘ইনশাআল্লাহ’। আর এ জন্য আমরা ওই মিটিংটি বর্জন করে আরেকটা মিটিং করেছি।
এসময় মঞ্চে বসা ছিলেন- লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক করাব ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই কামাল ও যুবলীগ নেতা নুর হোসেনসহ আরও কয়েকজন নেতা।