হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার একটি মণ্ডপে গণেশ পূজা চলাকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৫/২০ জন দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার (দিবাগত মধ্যরাতে) পৌর এলাকার জয়নগর গ্রামে এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মন্ডপ ভাঙচুরসহ অন্তত ৭ জন আহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গুরুতর আহতেরা হলেন, শ্রীবাস দাস (৩২), নয়ন দাশ (১৮) ও মমতা দাশ (৩০)। তাঁদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১২ মে) রাতে আহত চনু দাশ বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও সাত-আট জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন মঙ্গলবার (১৩ মে) বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
গ্রেপ্তাররা হলেন পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের কামাল আহমদের ছেলে মাহমুদুর রহমান এবং কলেজপাড়া এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়নগর আপ্যায়ন সংঘ বিগত এক যুগ ধরে গ্রামে গণেশ পূজার আয়োজন করে আসছে। এবারও চনু দাশের বাড়িতে পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েকজন মুসলিম তরুণ সেখানে যোগ দেন। আচরণগত বিষয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তরুণদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়।
কিছু সময় পর ওই তরুণদের সঙ্গে আরও ১৫–২০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ মণ্ডপে হামলা চালায়। হামলায় তিনজন গুরুতর আহত হন এবং মণ্ডপের চেয়ারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।