ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় বলের দখল ও আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য দেখাল বার্সেলোনা। তবু প্রথমার্ধে খেলার ধারার বিপরীতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। তবে বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা।
শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে লেভান্তেকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে শিরোপাধারীরা।
তিন বছর পর শীর্ষ লিগে ফেরা লেভান্তে হারল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে।
ইভান রোমেরো ও হোসে লুইস মোরালেসের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে বিরতির পর তিন মিনিটের ব্যবধানে পেদ্রি ও ফেররান তরেসের গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে লেভান্তের ডিফেন্ডার উনাই এলগেসাবালের আত্মঘাতী গোল নির্ধারণ করে ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচে ৮৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে লেভান্তের ৮ শটের ৫টিই লক্ষ্যে গিয়েছিল।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। কিন্তু ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় হঠাৎ করেই গোল পেয়ে বসে লেভান্তে।
বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রোমেরো।
২৭তম মিনিটে তরেসের শট ঠেকান লেভান্তের গোলরক্ষক। ৩৭তম মিনিটে ক্রসবারে লাগে তরেসের শট। পরের মিনিটে লামিনে ইয়ামালের দূরপাল্লার শটও রুখে দেন গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আসে দ্বিতীয় ধাক্কা।
বাল্দের হাতে বল লাগার ঘটনায় ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৮ বছর বয়সী মোরালেস।
বিরতির পর পাল্টে যায় খেলার চিত্র। ৪৯তম মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট শটে ব্যবধান কমান পেদ্রি। মাত্র তিন মিনিট পর রাফিনিয়ার কর্নারে কাছ থেকে ভলিতে গোল করেন তরেস।
এরপর একের পর এক আক্রমণ করে বার্সেলোনা। তবে গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভে বেঁচে যায় লেভান্তে। ৯০ মিনিট শেষেও যখন সমতায় আটকে ছিল ম্যাচ, তখনই যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ইয়ামালের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান এলগেসাবাল।
লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে ৬ পয়েন্টে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে টানা দুই হারে টেবিলের নিচের দিকে লেভান্তে।