আমাদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব দরকার : ওবায়দুল কাদের
- প্রকাশিতঃ শনিবার, মে ১১, ২০২৪
- 182 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
আমাদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব দরকার : ওবায়দুল কাদের
নিজেদের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দরকার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। আমরা কারও দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস জনগণ।
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয় ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে (দুই দেশের মাঝে) সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা (ক্ষমতায় এসে) সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার (সমাধানে) চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ (সমুদ্রসীমা) পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসার খবরে বিএনপি নেতারা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। তারা আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছেন। লু আসছে শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্নপূরণের জন্য আমেরিকা আর আসবে না। কেউই আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মিথ্যাচার করেছেন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। জনগণ না কি উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট দিল কারা? তারা এ দেশের জনগণ। তারা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন-অর্জনে মুগ্ধ।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লায়লী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
