প্রায় ১২ সপ্তাহ থেকে বেতন বন্ধ চা শ্রমিকদের। একই সাথে বন্ধ রয়েছে রেশনিং ব্যবস্থা। এর ফলে চলতি রোজা মাসে অনেক শ্রমিক পরিবারে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এর ফলে ওইসব চা শ্রমিক পরিবারে ফিকে হয়ে গেছে ঈদের আনন্দ। সেই বঞ্চিত চা শ্রমিকদের সহানুভুতি ও মুখে সামান্য হাসি ফোটাতে পাশে দাঁড়ালো ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেট।
গেল ২৭ মার্চ সংগঠনটির উদ্যোগে সিলেটের কেওয়াছড়া চা বাগানে শ্রমিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় গঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, ফলে তারা চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিনানিপাত করছেন। চা-শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ, নিয়মিত রেশন প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা ও বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট মানবেতর পরিস্হিতিতে থাকা চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি খাদ্য সহায়তা বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং এই কর্মসূচির মাধ্যমে কিছু শ্রমিক পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়, যাতে তারা সাময়িকভাবে হলেও কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।
ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি শুধুমাত্র একটি সাময়িক সহায়তা, তবে চা-শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন এবং এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম চা-শ্রমিকদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে পারে, তবে তাদের দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির জন্য টেকসই নীতিমালা ও সরকারি সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেট আশা প্রকাশ করে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন হবে।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. শাহজামান চৌধুরী বাহার, ট্রাস্টি আব্দুল করিম কিম, অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, রেজাউল কিবরিয়া লিমন, ধরা’র অ্যাডভোকেট অরুপ শ্যাম বাপ্পি, আলমগীর আলম শাহান এবং উপ-ব্যবস্থাপক, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, লাক্কাতুরা সিলেট সৈয়দ তানজিদ রুবাইয়াত।