জগন্নাথপুরে ভূমির সঠিক তথ্য গোপন করে ভুল তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে,যেকোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, গন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাস কর্তৃক একই কার্যালয়ের চেইনম্যান ফারুক জামান হায়দারের যোগ সাজসে একটি ভূমির সঠিক তথ্য গোপন করে ভুল তদন্ত প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ৭৯ নম্বর স্মারকে পিটিশন মামলা ১৯/২০২৫ এর নালিশা ভূমির সরজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের আদেশ জারি করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূইয়া সা-আধ জগন্নাথপুর উপজেলার পৌরশহরের বাগজোর মৌজার জেএল নং ৪৩,খতিয়ান নং ৭১,দাগ নং০৫,পরিমাণ ০.১৪একর ভুমি সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাসকে নির্দেশ দেন।
সার্ভেয়ার একটি পক্ষের সাথে গোপন আঁতাত করে অন্যায় প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ভুল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবরে। সার্ভেয়ারের ভুল প্রতিবেদনের আলোকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উক্ত ভুল প্রতিবেদন সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে প্রেরণ করেন।
এই প্রদিবেদনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে পৌরশহরের হবিবপুর এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে এখন দু্ই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি আবারো পুনরায় তদন্ত করতে ভুক্তভোগী পরিবার দাবি জানিয়েছেন।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানাযায়, উক্ত বিচারাধীন ভুমির রেকর্ডমূলে মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছেন হবিবপুর বাগজুর এলাকার আব্দুল ওয়াহিদ। এই জায়গার মালিক ও দখলদার হয়ে ৭শতাংশ ভূমি হবিবপুর গ্রামের দুলদুল বারীর কাছে বিক্রি করেন। বর্তমানে উক্ত ভূমিতে আব্দুল ওয়াহিদ ও দুলদুল বারী ভোগ দখলে আছেন।
সম্প্রতি হবিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আনোয়ার হোসেন উক্ত জায়গার কিছু অংশে জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করেন। আশপাশের কিছু জায়গার মালিকানা দাবি করে উক্ত বিচারাধীন জায়গা দখল করতে বেআইনি পথে অন্যায় ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাস উক্ত ভুমির তদন্তের দায়িত্ব পেলে সার্ভেয়ারকে চেইনম্যান ফারুক জামান হায়দার এর মাধ্যমে প্রভাবিত করে অবৈধভাবে ভোগ দখলের প্রতিবেদনে করানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। সার্ভেয়ার অনৈতিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে এই ভুল প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এতে উভয় পক্ষের মধ্য চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। এব্যাপারে পুনরায় তদন্ত করে ন্যায় বিচার করতে মাননীয় বিজ্ঞ আদালতের কাছে বিনীত আবেদন জানিয়েছেন ভূমির মালিক আব্দুল ওয়াহিদ। এব্যাপারে সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।