1. admin@sylhetbela24.com : admin :
June 21, 2025, 11:23 pm
বিজ্ঞপ্তিঃ
সিলেট বেলা ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম! আপনার আশে পাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ আমাদেরকে জানাতে sylhetbela247@gmail.com এ পাঠিয়ে দিন। আমরা যাচাই বাছাই শেষে তা যথারীতি প্রকাশ করবো। আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

দিরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাবে ভিটেহারা কয়েকটি পরিবার

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫
  • 59 বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাতক প্রদীপ রায়ের ইশারায় ভিটেহারা হয়ে যাযাবর জীবন পার করছেন কয়েকটি অসহায় পরিবারের লোকজন।

জানা যায়, উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের সামনে নদীর ওপারে থাকা সরকারের খাস জায়গা কেউ ৩০ বছর কেউ ২৫ বছর পূর্বে ভূমিহীন হিসেবে ভূমি বন্দোবস্ত পেলেও আজ পর্যন্ত ভোগ দখলে আসতে পারেননি সবাই।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা প্রদীপ রায়ের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা চিতলিয়া গ্রামের হিন্দু মাতবর শ্রেণি অতি উচ্ছৃঙ্খল। তাদের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ভোক্তভোগী পরিবারগুলো বন্দোবস্তকৃত জমিতে বসবাস করতে পারছে না। এখনও অসহায় ওই পরিবারগুলো বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কোনোরকমে বেঁচে আছেন। তাদের মধ্যে একজন ফয়জুর বলেন, আমাদের বন্দোবস্তকৃত জমিতে চিতলিয়া গ্রামের অনেক হিন্দু পরিবার জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। গ্রামের মাতবর শ্রেণির লোকেরা চায় না ওই এলাকায় কোনো মুসলিম বসতি গড়ে উঠুক।

ভুক্তভোগীদের অন্যতম সাইফুল বলেন, ১৯৯৩ সালে ভূমিহীন হিসেবে বন্দোবস্ত জমি পেয়েও আজও চাষবাস করার সুযোগ হয়নি। যতবার চাষবাস করার চেষ্টা করেছি ততবারই চিতলিয়া গ্রামের হিন্দু নেতারা তাদের দলবল নিয়ে আমার স্থাপনা ভেঙে দিয়ে তা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এজন্য বারবার আইনের আশ্রয় নিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

সাইফুল বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায়ের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা চিতলিয়া গ্রামের হিন্দু মাতবরা চাইছে, বন্দোবস্তকৃত জমিতে কোনোভাবেই যেন আমরা বসবাস করতে না পারি।

জানা যায়, গত ৪ মার্চ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভূমি সাইফুলের বন্দোবস্তকৃত জায়গা পরিদর্শন করেন এবং তিনি সাইফুলকে নির্দেশ দেন যে, এই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তুমি এখন থেকে এই জমিতে কোনো ধরনের কাজ করবে না।

এসময় তিনি চিতলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকেও উদ্দেশ্য করে বলেন, সাইফুল এই জায়গা বন্দোবস্ত পেয়েছে, এই জায়গা তার। আপনারা এই বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য জেলায় আবেদন করেন না কেন? ৩০ বছর হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত এই জায়গা বাতিল করতে পারেন না। আপনারা গ্রামের এতোজন লোক কি করেন? উল্লিখিত এই কথাগুলোর অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন জানান, ২৫ বছর পূর্বে আমার মায়ের নামে চিতলিয়া গ্রামের সামনে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত পেলেও আমরা ওই গ্রামের হিন্দু মাতবরদের হুমকি ধামকির ভয়ে বসবাস করার সাহস পাইনি। বর্তমানে আমাদের জায়গা অবৈধ দখল করে আরেকটি হিন্দু পরিবার বসবাস করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু সাইফুল কিংবা দেলোয়ার নয় মঈনুল, ইদ্রিছ আলী, পরিমলসহ অনেকেই রয়েছেন যারা ওই এলাকায় ভূমিহীন হিসেবে ভূমি বন্দোবস্ত পেয়েও চিতলিয়া গ্রামের হিন্দু মাতবরদের বিভিন্ন হয়রানির কারণে বসবাস অথবা চাষাবাদ করার সুযোগ পাননি। আর এসবের পিছনে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাতক প্রদীপ রায়ের হাত বলে মনে করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগণ।

চিতলিয়া গ্রামের প্রবীণ মাতবর স্বপন দাস বলেন, সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ায় বৈশাখ মাসে আমাদের হাওরের কৃষি ফসল উত্তোলন হুমকির মুখে। আমরা কারো অন্যায় লাগালাগি করিনি।

এ বিষয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজিব সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের আদেশ মতে তদন্ত করতে সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন এখনও আসেনি।

অপরদিকে সহকারী কমিশনার ভূমি জানান, অভিযোগকারী সাইফুলের মায়ের নামে আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালে দুই শতক জায়গা সহকারে একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চিতলিয়া গ্রামের সামনেও তার মায়ের নামে ভূমিহীনের জায়গা নিয়েছে। একজন লোক দুটি সুবিধা ভোগ করার নিয়ম নেই।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024 Sylhetbela24.com
Theme Customized By BreakingNews