সিলেটে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিল বের হওয়ার জের ধরে আওয়ামী লীগের ৪ নেতার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ এপ্রিল) পৃথক পৃথক সময়ে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এইসব ঘটনায় ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
জানাগেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক সিসিক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের বাসায় এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকাস্থ শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকজন মিছিল সহকারে এসে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা বাসার সিসি ক্যামেরা, ল্যাপটপ ভাংচুর করে। এর ঠিক একটু পরই পরবর্তী হামলার ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নগরীর পাঠানটুলায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায়। সাবেক মেয়রের বাসায় এনিয়ে ২য় বারের মতো হামলার ঘটনা ঘটলো। একইভাবে হামলাকারীরা সাবেক এমপি রঞ্জিত সরকার ও সাবেক কাউন্সিলর আফতাব হোসেনের বাসায়ও হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এর আগে সিলেট নগরীতে মিছিল বের করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৪জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন জনতা।
এদিকে নিজ বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাৎক্ষনিক যুক্তরাজ্যে একটি গণমাধ্যমে কথা বলেন। তিনি বলেন্, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নের্তৃত্বে মিছিল সহকারে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তিনি এ সময় সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীরও্র এই ঘটনায় ইন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে এসএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে মিছিলকারীদের ৪জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে । তিনি জানান আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় হামলার ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। শুনেছি বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা এই হামলা চালিয়েছে।