সিলেটে ছাত্রলীগের মিছিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ৫ নেতার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তোলছে। বুধবার ২ এপ্রিল এই ঘটনার পর আওয়ামী সমর্থক নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের ছবি ও তালিকা প্রকাশ করার বিষয়টি সামনে আনছেন। অপরদিকে, কিছু মানুষ সিলেটের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাটিকে অশনি সংকেত হিসেবে উল্লেখ করছেন। ওই অংশের দাবি- সিলেটে রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও কারো বাসা বাড়িতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হামলা বা ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টিকে খুবই দু:খজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
Sha Sid নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে বলা হয়, আমি আগাগোড়া সিলেটে বড়ো হওয়া মানুষ। সিলেট একটি ছোট্ট পরিবার। এখানে সবাই সবাইকে চিনে । সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রিতির কালচার অনেক পুরোনো । এখানে কে কোন দল করে তার চেয়ে বড় ব্যক্তিগত পরিচয়। আরিফ ভাই আওয়ামী আমলে সিলেটের মেয়র ছিলেন । কয়েছ ভাই সহ অনেক বিএনপি ও জামাত নেতা কাউন্সিলর ছিলেন । আমি বলছি না সব কিছু অনুকূলে ছিলো কিন্তু কোন সহিংসতা হয়নি ।সিলেটের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সব দলের লোক আছেন । আমি নাম ধরে ধরে বলতে পারবো যেখানে জামাত , বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা একসাথে ব্যবসা করছেন। আপনারা যারা নপুংসকের মতো কারো বাড়িতে আক্রমণ করেন তখন লজ্জা লাগে। এতো বড় একটি অর্জন কিছু ছুছরামীর জন্য প্রশ্নবিদ্ধ। ঈদের দুদিনের মাথায় আমার বন্ধু আদিল ও অগ্রজ নাদেল ভাইয়ের বাসায় হামলায় আমি ব্যাথিত। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা জুলাই আন্দোলনের মতো এতো বিশাল অর্জন করেছেন আপনাদের কাছে আরো ভালো কিছু আশা করেছিলাম ।
উল্লেখ্য, সিলেটে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিল বের হওয়ার জের ধরে একদিনে আওয়ামী লীগের ৫ নেতার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে। বুধবার (২ এপ্রিল) পৃথক পৃথক সময়ে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
জানাগেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক সিসিক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ভাই শফিক আহমদের বাসায় এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এর আগে সিলেট নগরীতে মিছিল বের করায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।