শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ১৭,০০০ টাকা ভর্তি ফি গ্রহণের সিদ্ধান্ত একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও অমানবিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শাবিপ্রবি সংসদ। বুধবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে শাবি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্বান্তকে অমানবিক দাবি করে অবিলম্বে এই সিদ্বান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্বান্ত অধিকাংশ পরিবারকে চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি করবে। একই সাথে এ ধরনের ফি বৃদ্ধি নিম্নবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকারকে সংকুচিত করবে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করছে। এই দাবিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ অবান্তর মনে করে। বাংলাদেশে শিক্ষা খাতের জন্য সরকারি বাজেট বৃদ্ধি না করে শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত ব্যয়ভার চাপিয়ে দেওয়া উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শাবিপ্রবি সংসদ মনে করে, শিক্ষা প্রতিটি শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার। অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষাখাতকে পণ্যায়ন করার বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগঠিত করে আসছি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ভর্তি ফি শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর আঘাত আনবে না, বরং পুরো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অপ্রত্যাশিত পরিণতি বয়ে আনবে। ২০২৫ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাবিপ্রবির ভর্তি ফি এর পরিমাণ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।