গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া আক্তারকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর সারাদেশেই বারুদের মতো ছড়িয়ে পড়েছিলো। বিভিন্নমহল থেকে সকলেই এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শহীদকন্যার পক্ষে অবস্থান নিলে নামকাওয়াস্তে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অথচ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রভাবশালীরা খোলামেলাভাবেই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে। এই সরকার শহীদকন্যা লামিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় যখন আটককৃত ঐ একজনও জামিনে মুক্ত হয়ে যান।
লামিয়ার ধর্ষণ ও রাষ্ট্রীয় অবহেলাজনিত কাঠামোগত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সিলেটের বন্দর বাজার এলাকায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিলেট জেলা সংসদের আহবানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি মনীষা ওয়াহিদ ও সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন ফকির। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন, সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মাশরুখ জলিল, শাবিপ্রবি সংসদের সংগঠক, জুবায়ের আহমেদ জুয়েল, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সামিন প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খাদিম চা-বাগান আঞ্চলিক শাখার সভাপতি রূপালী তাঁতী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ” শহীদকন্যা লামিয়া যখন তাঁর বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন, তখন এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এই সরকার নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। ধর্ষণের ঘটনার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কোনোরূপ তাগিদ লক্ষ্য করা যায়নি। বরং তাদের অবহেলা একটি প্রাণকে কাঠামোগত হত্যাকান্ডের শিকার হতে বাধ্য করেছে। গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, শহীদের রক্তের ঋণকে ভুলতে বসেছে এই সরকার। “
সমাবেশে বক্তারা জননিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং সকল অমিমাংসিত ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন।