সিলেটের বিশ্বনাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩ মে) রাতে কিশোরীর বাড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামে ঘটে। গত রবিবার রাতে (৪ মে) ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে প্রেমিক মজাহিদ আলীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০৩, তাং ০৪.০৫.২০২৫)।
রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মজাহিদ আলী (৩৫)-কে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। সে (মজাহিদ আলী) উপজেলার দশপাইকা গ্রামের নজিব উল্লাহর ছেলে। অভিযুক্ত মজাহিদ আলীর প্রথম বিবাহের পর এক কন্যা সন্তান এবং তার ঘরে দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একমাস আগে ১৭ বছর বয়সী কিশোরী উপজেলার মীরগাও গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মজাহিদ আলীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিক তার নাম মজাহিদ আলী থাকলেও সে ওই কিশোরীর কাছে জুবায়ের আহমদ বলে পরিচয় দেয়। প্রেমের সম্পর্কের এক মাসের মাথায় গত শনিবার বিশ্বনাথ পৌর শহরের বাসিয়া ব্রিজের উপর থেকে সিএনজি গাড়িতে করে তারা দুইজন ঘোরাঘুরি করেন। পরে সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে প্রেমিক মজাহিদ আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে বসত ঘরের পূর্বে দিকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন রবিবার (৪ মে) সকালে ধর্ষণকারী মজাহিদ ওই কিশোরীকে তার বাড়ি সামনে রেখে চলে আসে। পরে ওই কিশোরীকে তার পরিবার চাপ সৃষ্টি করলে সে ঘটনা খুলে বলে। মামলার এজাহারে ধর্ষণকারীর নাম লেখা জুবায়ের। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রতারক প্রেমিকের আসল নাম মজাহিদ আলী।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (০৫ মে) তাকে আদালতে পাঠানো সোপর্দ করা হয়েছে।